এবছরই প্রথমবার কালীঘাটে নিজের বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে বসেই ভার্চুয়ালি মণ্ডপে প্রতিমার চক্ষুদান করেছেন তিনি। শনিবার নিজেই জানালেন, তাঁর পায়ে মারাত্মক ইনফেকশন হয়েছে। সেরে উঠতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
এদিন তৃণমূলের মুখপত্রের শারদসংখ্যার উদ্বোধন ছিল নজরুল মঞ্চে। কালীঘাটের বাসভবন থেকেই মমতা তাঁর উদ্বোধন করেন। বলেন, তিনি সশরীরেই যেতেন। তবে পায়ের জন্য তা সম্ভব হল না। খুব সাংঘাতিক ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল তাঁর পায়ে। আর তা অস্ত্রোপচারের পর।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছিল। দেখা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে ভর করে কোনওরকমে হেঁটে এসে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ওখানে যেতাম। কিন্তু পায়ে একটা বড় সংক্রমণ হয়ে গেছিল। পনেরো দিন ধরে লড়াই করতে হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মধ্যে থেকে লড়াই করে বেঁচে আছি। হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গেছিলাম। তারপর বার্সেলোনায় গিয়ে চোট পেয়েছি। তারপরেও ওখানে কাজ করে গেছি।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতায় ফিরেই তিনি ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। তারপর পায়ে একটা অস্ত্রোপচার হয়। সেই অস্ত্রোপচারের পর ক্ষতস্থানে প্রচণ্ড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল। তারপর স্যালাইনের চ্যানেল করে আইভি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, “আমি মানসিকভাবে সুস্থ, শারীরিকভাবেও সুস্থ। পায়ের ব্যথাটা আশা করি ক'দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।”
এদিন সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেবী হলেন আমাদের মা। তাঁকে আবাহন করুন। আনন্দ করুন। কে কী বলল তাতে কান দেবেন না। নেতিবাচক ব্যাপার এড়িয়ে চলুন। বিদ্বেষ নয়, পরস্পরকে ভালবেসে এই শারদ উৎসব উপভোগ করুন।