রাজ্য জুড়ে বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযান চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর তৎপর প্রশাসন। বৃহস্পতিবারও চলেছে অভিযান। বেদখল হয়ে যাওয়া বহু জমি থেকে ‘দখলদার’দের সরানো হয়। ‘দখলদার’দের সরাতে মাইক নিয়ে প্রচার করা হয় কোথাও। কোথাও আবার সরাসরি বুলডোজ়ার বা পেলোডার নিয়ে অবৈধ দোকানপাট এবং নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হকারনীতি নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি কলকাতার বহু পুরোনো বাজার নিয়েও নির্দেশ দিলেন তিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'লোকে বাজার করতে গিয়ে মারা যাবেন আমি বলে দিলাম। আমি সেদিন জগু বাবুর বাজারের বাজারের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলাম। ববিকে (পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম) বললাম বাজারটা নতুন করে হচ্ছে না কেন। বলল মালিক করছে না। দলকার হলে মালিকের কাছ থেকে সরকারকে অধিগ্রহণ করতে হবে। ওই হাজারে হাজার মানুষ বসেন। মানুষের জীবনের দাম আগে। জায়গাটাক তার বলে একজন গায়ের জোর দেখাবে, সেটা হতে পারে না।'
এরপর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, 'ভগ্নপ্রায় যত বাজার শহরে রয়েছে সেগুলির একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। বেশি টাকা লাগবে না, এক-দেড় কোটি টাকা হলেই হয়ে যাবে। দরকার হলে সরকার টাকা দেবে। আগে প্ল্যান হাতে পাব, তারপর করব। অনেক গরিব মানুষ সবজি বিক্রি করতে আসে। সেদিনই চলে যায়। দরকার হলে বাজারগুলি ৪ তলা করা যেতে পারে। নীচতলায় সবজির জায়গা করে দেওয়া হল। কী অসুবিধে, তবে সব বাজারগুলিই একই নিয়মে হবে।'