পড়ুয়াদের জন্য অবশেষে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকেই তিনি জানান, পড়ুয়াদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য এই প্রকল্প। এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা লোন নিতে পারবেন পড়ুয়ারা।
কী কী রয়েছে এই কার্ডে
মমতা বলেন, ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের গর্ব। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য আমাদের এই স্কিম। আমরা চালু করছি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। নির্বাচনের আগেই আমরা এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সারা বিশ্বে এত বড় প্রকল্প এই প্রথম। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পড়ুয়ারা ঋণ নিতে পারে। এজন্য কোনও গ্যারেন্টার লাগবে না। গ্যারেন্টার হবে রাজ্য সরকার। এই ক্রেডিট কার্ডের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, দশম শ্রেণি থেকে শুরু স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর তারপরে গবেষণা, ডিল্পোমা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা, প্রশিক্ষণের জন্য, আইপিএস, আইএস-যেখানে পরীক্ষার জন্য প্রস্তূতি নেওয়া হয়। সেখানে আবেদন করলেও এই ঋণ পাওয়া যাবে। মনে রাখবেন এই ঋণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কিছু বিশেষ দিক রয়েছে।
কত বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন
মমতা বলেন, লেখাপাড়ার যাবতীয় খরচ ফ্রি, টিউশন, হোস্টেল খরচ, কম্পিউটার-ল্যাপটপ কেনা এই প্রকল্প থেকে ঋণ পাবেন। বাংলায় বসবাসকারী ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশ ও বিদেশে অবস্থিত যেকোনও স্বীকৃত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মাদ্রাসায় পড়াশুনার জন্যও এই সুবিধা নিতে পারবেন। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এটা চলবে। যারা মাঝে পথে পড়াশুনা বন্ধ রেখেছেন, এখন নতুন করে শুরু করতে চান। সেই জন্যই ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই ক্রেডিট কার্ডে ঋণের মেয়াদ ১৫ বছর। রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি কোওয়াপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে এই লোন পাওয়া যাবে। ব্যাঙ্কিং সেক্টর থেকেও এই লোন পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে। কোর্স চলাকালীন যে কোনও সময়ে আবেদন করা যাবে। এর ফলে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার জন্য বাবা-মায়ের কোনও চিন্তা থাকবে না। আমি আশা করব এই ক্রেডিট কার্ড ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্নপূরণে অনেক সাহায্য করবে।
সতর্ক করলেন মমতা
মমতা বলেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কোনও প্রতারক যদি কার্ডকে নকল করে নানারক ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন তাহলে কিছুতেই সেখানে পা দেবেন না। রাজ্য শিক্ষা দফতরের যে অনলাইন ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে আবেদন করলে এই কার্ডটি পাওয়া যাবে।