নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফল নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনে এবার পরাজিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নির্বাচনের ফলপ্রকাশে কারচুপি হয়েছিল বলে আগেই অভিযোগ এসেছিল তৃণমূলের তরফে। এবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের প্রায় দেড় মাস পরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হতে চলেছে বলে খবর। সম্ভবত বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে।
২রা মে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেখানে নন্দীগ্রামে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১৯০০ ভোটে হেরেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২রা মে বিকালে এই নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ছড়ায়। প্রথমে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গিয়েছেন। পরে জানা যায় নন্দীগ্রামের ফল পুরোপুরি প্রকাশই হয়নি। যদিও নন্দীগ্রামের ফল প্রকাশে কারচুপি হয়েছে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে এসেছে তৃণমূল। এবার তা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।
এর আগে প্রায় মাসখানেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, নন্দীগ্রামে রিটার্নিং অফিসার বলছে আমি রিকায়োন্টিং দিলে ওনার প্রাণ সংশয় হতে পারে। ৪০ মিনিট লোডশেডিং, মেশিন পাল্টেছে। রিকোয়ান্টিং কেন দেবে না কমিশন। এসব কী। এতো বড় মাফিয়াগিরি আমি দেখিনি। এই ইভিএম মেশিন আলাদা করে রাখা হোক। এগুলো টেস্ট হবে। ইভিএম যেন বিকৃত না হয়। নন্দীগ্রামে কী হচ্ছিল সবাই জানে। মেশিন পাল্টে দিয়েছে, অনেক কিছু হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা পক্ষপাতদৃষ্ট। আমরা আদালতে যাব। সেই ঘোষণা মতোই প্রায় দেড়মাস পরে হাইকোর্টের নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে দ্বারস্থ হল তৃণমূল।
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূলে ২১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আসনে পরাজিত হয়েছেন। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাব শপথ নিলেও তিনি বিধায়ক নন। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে তাকে জিতে আসতে হবে।