scorecardresearch
 

Mamata on RG Kar Incident: 'এখন পাপবোধ করছে, খুনের হুমকিতে উল্টোপাল্টা সাক্ষী,' আরজি কর-কাণ্ডে ধনঞ্জয়ের 'উদাহরণ' মুখ্যমন্ত্রীর

বুধবার বেহালায় আরজি কর কান্ড নিয়ে রাজনীতির অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আরজি করের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কোনও ফাঁক রাখেননি তিনি। পুলিশের সেরা টিম কাজে লাগিয়েছিলেন। ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকেও ধরা হয়েছে। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি ধনঞ্জয়ের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, যাতে কোনও নির্দোষ ব্যক্তি শাস্তি না পায়, সেটা লক্ষ্য রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement
বেহালায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেহালায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাইলাইটস
  • বুধবার বেহালায় আরজি কর কান্ড নিয়ে রাজনীতির অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • তিনি জানান, আরজি করের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কোনও ফাঁক রাখেননি তিনি।

Mamata on RG Kar Incident: বুধবার বেহালায় আরজি কর কান্ড নিয়ে রাজনীতির অভিযোগে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আরজি করের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কোনও ফাঁক রাখেননি তিনি। পুলিশের সেরা টিম কাজে লাগিয়েছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকেও ধরা হয়েছে। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি ধনঞ্জয়ের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, যাতে কোনও নির্দোষ ব্যক্তি শাস্তি না পায়, সেটা লক্ষ্য রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। দোষীর ফাঁসি হোক, কিন্তু নির্দোষ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়। এক নজরে আজ যা যা বললেন মুখ্য়মন্ত্রী:

  • আপনাদের দুই তিনটি ঘটনায় বলব, আমরা কোন কাজটা করিনি, কোন সমবেদনা জানাইনি, কোন অ্যাকশনটা নিইনি? ঘটনাটা যখন ঘটেছিল আমি ঝাড়গ্রামে ছিলাম। গাড়িতে খবর পেয়েই আমি বিনীত গোয়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। উনি জানালেন আমরা হাসপাতালে আছি। বাবা-মাও হাসপাতালে আছেন। তখনই বাবার সঙ্গে কথা হল। বাবা বললেন একটু মায়ের সঙ্গেও কথা বলুন। আমি বলেছিলাম পুলিশ তদন্ত করবে, আমি ওদের ফাঁসি চাই। আমি আজও সেটাতেই স্টিক করি। আমি বলেছিলাম আমি ওদের বাড়ি শীঘ্রই যাব। আপনারা জানেন, পরিবারের কাজ থাকে, রবিবার সম্ভবত ছিল। তাই সোমবার আমি তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
     
  • ঘটনাটা ঘটেছিল সম্ভবত শুক্রবার। ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ আমার সঙ্গে ১০০ বার কথা হয়েছে। মিনিট টু মিনিট। সারারাত ঘুমাইনি। রাত ২টো পর্যন্ত পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সারারাত ক্রিমেশন, সিসিটিভি, ডিএনএ, স্যাম্পেল কালেকশন থেকে শুরু করে... গত এক মাসের সিসিটিভি পুরো খতিয়ে দেখার জন্য ১৬৪ জনকে অ্যাপয়েন্ট করা হয়েছিল। ১২ ঘণ্টার মধ্যে আসল যে খুনি, তাকে এভিডেন্স পেয়ে জেরা করে অ্যারেস্ট করা হয়েছে।
     
  • আমি রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। আপনারা জানেন, একটা তদন্তে একটু সময় লাগে। আমি স্বাস্থ্য দফতরকে বলেছিলাম তদন্ত করতে। আমি এমনি এমনি অ্যাকশন নিতে পারি না। আমি জুনিয়রদের যেমন ভালবাসি, সিনিয়রদের রেসপেক্ট করি। আমি হেলথ ডিপার্টমেন্টকে ৪৮ ঘণ্টা টাইম দিয়েছিলাম। জানার পর আমি সবাইকে ট্রান্সফার করে দিয়েছিলাম।
     
  • আমি যদি বিনা প্রমাণে ধরি, তাহলে কীভাবে হবে। ধনঞ্জয়ে দেখছেন, যে সাক্ষী দিয়ছিল, সে এখন বলছে আমি পাপ বোধ করছি। তখন তাতে বাম সরকার সাপোর্ট করেছিল। আমার বলতে খারাপ লাগছে, তখন বুদ্ধদেববাবুর আমল। সেই সময় অনেক ঘটনা ঘটেছিল। যে সাক্ষী দিয়েছিল, সে এখন বলছে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল, তাই আমি ভুল সাক্ষী দিয়েছিলাম। আপনি একটা দোষী লোককে ফাঁসী দিন, আপত্তি নেই। একটা, হাজারটা দোষী লোককে আপনি ধরুন আমাদের আপত্তি নেই। আমরা হাইকোর্টের রায় মেনে চলব, আমাদের কোনও লেনাদেনা নেই, এই পাশবিক হত্যায় দোষী ব্যক্তিকে নিশ্চই যেন ফাঁসী দেওয়া হয়। আমি রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই সিবিআইকে দেওয়া হল।
     
  • যাক গে, সব ভাল যার শেষ ভাল। হাইকোর্ট যখন সিবিআইকে দিয়েছে আমার কোনও আপত্তি নেই। মনে রাখবেন, কলকাতা পুলিশের যে টিমকে আমি লাগিয়েছিলাম, সেটা বিশ্বের অন্যতম সেরা। তা না হলে বাংলাদেশের যে এমপিকে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল, তার খুনিকে ভাঙড় থেকে উদ্ধার করা যেত না। আগে নিয়ম ছিল, এখন কেন্দ্র আর আগে থেকে জানায় না শহরে কোনও ভিআইপি আসছে কিনা। ব্যাঙ্গালোরে ব্লাস্ট হয়েছে, ফয়সালা করেছে কে? বেঙ্গল পুলিশ।
     
  • মনে রাখবেন, রাজনীতি করুন। কিন্তু কোনও মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আজ আত্মার প্রতি শান্তি জানান, পরিবারের প্রতি জানান। উত্তরপ্রদেশে ঘটেছে, রাজস্থানে ঘটেছে, মণিপুরে ১০০ জন মহিলাকে, নার্স-সহ নেকেড প্যারেড। কী করেছে বিজেপি। হাথরাসে যে মেয়েটিকে নির্যাতন করা হয়েছিল, কোর্টে যাওয়ার সময় গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছিল। উন্নাওতে বিজেপি রাজ্য সরকার ছিল, কী করেছিল? কংগ্রেসকেও বলব, আপনাদেরও তো সরকার অনেক জায়গায় এমন হয়েছে।
     
  • মনে পড়ে বানতলায় ড অনিতা দেওয়ানের কথা? বামফ্রন্ট সরকার ছিল। ভুলে গেছেন? অনেকেই এখন জানেন না। আমার মনে আছে কারণ আমি সেখানে গিয়ে একটা গাছের চারা লাগিয়ে এসেছিলাম। যারা ফেসবুক টুইটারে সস্তার রাজনীতি করতে গিয়ে ভুলে গিয়েছেন, নিজেকে আয়নায় দেখুন।
     
  • আমি ঘটনাটা জানি, ১৯ জন আনন্দ মার্গীকে কারা পুড়িয়ে মেরেছিল, কারা? সেই সিপিএম দল। নন্দীগ্রামে গুলি করে হত্যা, ১০ জনকে বাঁশে বেঁধে জলে ফেলা, সিঙ্গুরে তাপসী মালিককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। 

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisement