'ছাত্ররা করেনি। ওদের প্রতি রাগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো ঢুকে জলঘোলা করেছে'। আরজি কর হাসপাতালে মধ্যরাতের তাণ্ডব নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন প্রথামাফিক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজভবনে চা চক্র যোগ দেন। সেই সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিও চলছে'।
মমতা বলেন,'আমি ছাত্রছাত্রীদের দোষ দিচ্ছি না। বহিরাগত কিছু রাজনৈতিক লোক, বাংলায় অশান্তি করতে চায়। বাম আর রাম একত্রিত হয়ে গণ্ডগোল করেছে'। মমতার সংযোজন,'ডিসিকে ১ ঘণ্টা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল। আমি ফোন করে বললাম, অ্যাপোলোতে নিয়ে যান। পুলিশের অনেকেই মার খেয়েছেন। একটাই সাধুবাদ দেব, এত তাণ্ডব দেখে সহ্যের সীমা হারায়নি পুলিশ। কাউকে আঘাত করেননি। বাঁধ ভাঙা উচিত নয়। যারা আন্দোলন করে তাদের সীমা নজরে রাখতে হয়। আমরা আন্দোলন করে বড় হয়েছি। কোনও হাসপাতালের ভিতরে গিয়ে তাণ্ডব করিনি'!
আরজি করে তরুণী ডাক্তার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে তাঁর যে আস্থা রয়েছে সেটা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। বলেন,'ঘটনাটি দুঃখজনক। কালও ফাঁসির দাবিতে মিছিল করব বলেছি। আমরা তো বলেছিলাম, রবিবারের মধ্যে তদন্ত শেষ করব। মৃত্যুটা বেদনাদায়ক। পরিবারের প্রতি সমবেদনা আছে। কখনও কখনও এক-আধটা ঘটনা ঘটে যায়। এটা সামাজিক ব্যাধি। এই জিনিসটাকে সমর্থন করতে পারি না।
মমতা আরও বলেন,'এই অপরাধের একটাই শাস্তি ফাঁসি দিয়ে দাও। যাতে অন্যরা কিছু করার আগে ভয় পায়। নিরাপরাধ লোকেরা যেন শাস্তি না পায়। ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে যে সাক্ষী দিয়েছিল সে স্বীকার করেছে, আমার পাপবোধ হচ্ছে। কোনও নিরাপরাধকে যেন শাস্তি না দেওয়া হয়। আমাদের পুলিশ ৩৪ জনকে ডেকেছিল। রবিবার পর্যন্ত সময় ছিল। পুলিশকে সেভাবে বলেছিলাম, করেওছে ওরা। ওদের জিনিসগুলি নিয়েই তদন্ত করছে। যে কটা লোককে ডাকা বাকি ছিল, ওদের হাতে ৪-৫ দিন সময় ছিল। এর মধ্যে তদন্ত গুটিয়ে নিত'।
বিজেপি শাসিত রাজ্যের ধর্ষণের ঘটনার কথাও টেনেছেন মমতা। তাঁর কথায়,'উত্তরপ্রদেশে দলিত মেয়ের উপরও ঘটনা ঘটেছে। তার আগে মধ্যপ্রদেশে ঘটেছে। হাথরস, উন্নাওয়ে ঘটেছে এই ধরনের ঘটনা'।