Mamata Banerjee: 'কেষ্ট...কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না,' অনুব্রতকে কেন বললেন মমতা?

বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুয়ো ভোটার ধরতে জেলায় জেলায় কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বাদ গিয়েছে বীরভূম।

Advertisement
'কেষ্ট...কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না,' অনুব্রতকে কেন বললেন মমতা?'কেষ্ট কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না', অনুব্রতকে কেন বললেন মমতা?
হাইলাইটস
  • ভোটার তালিকায় কারচুপি করার অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
  • বিজেপি, কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন

বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুয়ো ভোটার ধরতে জেলায় জেলায় কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বাদ গিয়েছে বীরভূম। তবে তার কারণও জানিয়েছেন দলনেত্রী। মমতা বলেন, ওখানে যেহেতু দল চালানোর জন্য কোর কমিটি রয়েছে, তারাই এই কাজটা করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি বীরভূমকে রাখিনি কারণ ওখানে কোর কমিটি আছে। ওরা ওটা চালাক। কোর কমিটিতে যারা আছে তারা নিজেদের মতো করে সবাইকে নিয়ে করবে। কেষ্ট কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না। কাজলকেও নিতে হবে। আশিসদা (আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়) আর শতাব্দীকেও (শতাব্দী রায়) মাঝে মাঝে ডেকে নেবে। কাজটা সবাই মিলেই করবে।

নেতাজি ইন্ডোরে দলের কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিজেপি, কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন। মমতার দাবি, বাংলায় এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পঞ্জাব, হরিয়ানার বাসিন্দার নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। দিল্লি থেকে সবটা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সবটাই জানে। এরপরেই ভুয়ো ভোটার ধরতে জেলায় জেলায় কোর কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ভোটার তালিকা পরিষ্কার করতে হবে।

তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, '২০২৬ সালে আবার খেলা হবে। সেই কাজটা শুরু হবে ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান। ১০ দিন সময় দিচ্ছি। অনলাইনের সঙ্গে ভোটার তালিকা মেলান। কমিটি ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করবে। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে সেজন্য একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার মানুষের ভোটটা বাইরের লোক এসে দিয়ে দেবে। আমি প্রমাণ দিচ্ছি। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে বাড়ি মহম্মদ সাইদুল ইসলাম। তাঁর এপিক কার্ড নম্বরের সঙ্গে যোগ করেছে হরিয়ানার সনিয়া দেবীর নাম। মহম্মদ আলি হোসেনের বাড়ি রানিনগর। তাঁর সঙ্গে হরিয়ানার একজনের নাম তুলেছে। বুঝতে পারছেন খেলাটা? আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে। আধার কার্ড ওদের হাতে। একই এপিক নম্বরে বাংলার ভোটারের জায়গায় হরিয়ানা, পঞ্জাব, বিহারের নাম ঢুকিয়েছে। রেলে করে নিয়ে আসবে। আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে অনলাইনে কারসাজি করে ভুয়ো ভোটারের নাম তুলে দিয়েছে। আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে ওরা। এখানকার ভোটারদের এপিক নম্বর নিয়ে বাইরের রাজ্যের ভোটারের নাম জুড়ে দিয়েছে। এখানে অনেক এজেন্সি পাঠায়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস, কোম্পানি ইন্ডিয়া ৩৬০ নামে দুটি এজেন্সি আছে। যতদূর আমি খবর জোগার করতে পেরেছি, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং কিছু বিএলআরকে নিয়ে কাজ করেছে। ভোটের আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। না হলে এই নির্বাচনে যাওয়ার দরকার নেই।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement