ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই রাজ্যের বাজারে যেন কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, সেজন্য কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, শাক-সবজি, মাছ-মাংস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যাতে না বাড়ে, তা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে।
মমতার স্পষ্ট বার্তা, ‘এই পরিস্থিতিতে কেউ যদি কালোবাজারি করে বা জিনিসপত্র বাইরে সরানোর চেষ্টা করে, সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্ডার এলাকায় নজরদারি বাড়াতে হবে। বেশি দামের লোভে কেউ যাতে অন্য জায়গায় মাল পাঠাতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
অতীতের ঘটনার কথাও মনে করিয়ে দেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী অতীতের ঘটনার কথাও মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘গড়বেতা, ঝাড়গ্রাম, চন্দ্রকোণা, দাঁতন থেকে আগেও প্রচুর আলু বাইরে চলে গিয়েছিল, যদিও সেসময় বারণ করা হয়েছিল। এবার আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। এই রকম পরিস্থিতিতে এই ধরনের কাজ অপরাধ।’
বর্তমানে বাজারের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকার সঠিকভাবে মনিটরিং করছে বলেই এখনও বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।’ প্রশাসনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিটি জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে বাজার পরিস্থিতির খোঁজ নিতে হবে। ট্রেনে করে কোনও পণ্য বাইরে যাচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
কালোবাজারি রুখতে কড়া রাজ্য সরকার
সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথাও কালোবাজারির খবর থাকলে প্রশাসনকে জানাতে বলেছেন তিনি। রাজ্যের বাজারে আলু, পেঁয়াজ, টমেটো, মাছ-মাংসের দাম আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, যাতে পণ্য পাচার না হয়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মমতার এই কড়া পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি যতটা জটিল, বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ততটাই চ্যালেঞ্জের।