scorecardresearch
 

Mamata On Anubrata: 'কেষ্টর মতো সাহায্যকারী ছেলে কম দেখেছি,' অনুব্রতর পাশে নেত্রী

মমতার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন,'২১ জুলাই আমাদের সমাবেশ হল। ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডি পাঠিয়ে দেওয়া হল। ২২ জুলাই কেন?

Advertisement
অনুব্রতর পাশে নেত্রী। অনুব্রতর পাশে নেত্রী।
হাইলাইটস
  • অনুব্রতর পাশে মমতা।
  • টিএমসিপি সভামঞ্চে প্রশংসা কেষ্টর।

গ্রেফতারির পর থেকে আগাগোড়া অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন নেত্রী। ভরসা পেয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে কেষ্টর তারিফ শোনা গেল মমতার মুখে। সেই সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির 'সময়' নিয়েও প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
 
অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর মমতা প্রশ্ন করেছিলেন,'কেন গ্রেফতার করা হল কেষ্টকে?' সোমবার তিনি বলেন,'কেষ্টর মতো সাহায্যকারী ছেলে আমি খুব কম দেখেছি।'পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশেও দাঁড়িয়েছেন নেত্রী। তাঁর কথায়,'২১ জুলাইয়ের পর ২২ তারিখ মধ্যরাতে পার্থদার বাড়িতে হাজির হলে। তুমি আগেও করতে পারে। দেখে নেব কেসে কী আছে।' শিক্ষাক্ষেত্রে 'দুর্নীতি' নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলেও তাঁর অভিযোগ। মমতার কথায়, 'আমাদের কত ছেলেমেয়েরা চাকরি পেয়েছে! তোমাদের আমলে ক'জন পেয়েছে?মাত্র ১০ বছরে আমরা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ চাকরি দিয়েছি শুধু শিক্ষায়। অভিযোগ গিয়েছে কটা? দু-আড়াই হাজার। তাও বলেছিলাম করে দেব।' 

মমতার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন,'২১ জুলাই আমাদের সমাবেশ হল। ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডি পাঠিয়ে দেওয়া হল। ২২ জুলাই কেন? কেন ২৩ জুলাই নয়। কেন ২৪ জুলাই নয়?' সেই সঙ্গে তাঁর আশঙ্কা, ৪-৫ দিনের মধ্যে ওরা আবার কিছু একটা করবে। আসলে অভিষেক যা বলতে চেয়েছেন, ২১ জুলাইয়ের সভার পর পার্থর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি, সেভাবেই হয়তো তৃণমূলের কোনও নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালাতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। 

দলনেত্রীরও আশঙ্কা ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করতে পারে। আগে থেকে ছাত্র-যুবদের সাবধান করে তিনি জানান,'হঠাৎ যদি দেখেন ববির সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তাই অ্যারেস্ট করেছে। বুঝবেন সবটা সাজানো। টোটালটা মিথ্যা। টোটালটা নাটক।' উল্লেখ্য অতিসম্প্রতি ফিরহাদ হাকিমকে জেলে পোরার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বহরমপুরের সভায় তিনি বলেছিলেন, 'পার্থ বাবু আর অনুব্রত মণ্ডল প্রতিযোগিতা করছেন। বারবার তাঁরা ডাক্তারখানায় যাচ্ছেন। তাই এবার হেকিমকে ভিতরে ঢোকাতে হবে। কাউকে আর হাসপাতালে যেতে হবে না। ভিতরেই হাকিম সাহেব চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবেন।'

Advertisement

আরও পড়ুন- 'আমার জানা নেই,' চিন্তন বৈঠকেও দিলীপ বনাম সুকান্ত? 

Advertisement