Mamata Banerjee On Weather : বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত-বৃষ্টি, ডিভিসি জল ছাড়লে ফের বন্যার আশঙ্কা: মুখ্যমন্ত্রী

প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরই তাঁর সংযোজন, ' ফের বর্ষা আসছে। এই ২ থেকে ৩ দিনে বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে।'

Advertisement
বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত-বৃষ্টি, ডিভিসি জল ছাড়লে ফের বন্যার আশঙ্কা: মুখ্যমন্ত্রীMamata Banerjee (File Photo)
হাইলাইটস
  • বন্যা কবলিত এলাকায় জোরকদমে কাজ করার প্রস্তুতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের
  • তিনি জানান, বৃষ্টি হলে বন্যা কবলিত এলাকার বিপদ ফের বাড়বে

পুজোর আগে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফের বর্ষণ হলে এবং ডিভিসি জল ছাড়লে নতুন করে প্লাবিত হবে বহু এলাকা। জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের কনফারেন্স রুমে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।    

প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরই তাঁর সংযোজন, ' ফের বর্ষা আসছে। এই ২ থেকে ৩ দিনে বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু জেলায় বৃষ্টি হবে। নতুন করে বৃষ্টি হলে আবার ডিভিসি যদি জল তাহলে নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা। যে সব জায়গায় ইতিমধ্যে জল জমে আছে, সেখানে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি।' 

এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'যারা দেখতে পাচ্ছেন জলের সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের কাছে অনুরোধ করব নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার। বিডিও-দের এনিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি জানি  ঘর ছেড়ে যাওয়া মুশকিল। কিন্তু মানুষের জীবনের দাম বেশি। প্রাণ থাকলে ফের বাড়ি তৈরি হতে পারে।'

কৃষকদের সাহায্য করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, হাওড়ার অনেক জমি নষ্ট হয়েছে। সেই সব জমির মালিকদের শস্য়বীমার টাকা দেওয়া হবে। 

কেন্দ্রীয় সরকারকেও আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,  'ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের এখানে জল ছেড়ে দেয়। ফরাক্কায় ড্রেজিং না করানোয় ফলে মালদা ও মুর্শিদাবাদ প্লাবিত হয়। ভারী বৃষ্টিতে বিহারও বাঁধ কেটে দিয়ে জলটা বাংলায় ঢুকিয়ে দেয়। কেন্দ্র আজ পর্যন্ত বন্যা নিয়ে কাজ না করার ফলে কৃষিক্ষেত্র ডুবে যাচ্ছে। এত বন্যা বাংলা ও অসমে হয়। বাংলার চারপাশে জল। তাই সাফার বেশি করতে হয়।'  

বন্যার ফলে যে সব মাটির বাড়ি ভেঙে গেছে সেই সব বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা রাজ্য সরকার করবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।   তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসে ১১ লাখ বাড়ির জন্য টাকা ছাড়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। কিস্তির অর্ধেক টাকা ডিসেম্বরের প্রথমে ছাড়া হবে। কোন কোন বাড়ি ভেঙে পড়েছে তার সাভ্রে করা হবে। যে সব মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে বন্যায় সেগুলো যাতে তৈরি করা যায় তার দিকে খেয়াল রাখা হবে। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement