শিক্ষক দিবসের আগে বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের তরফে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের। এই আয়োজনে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য শিক্ষারত্ন সম্মান ২০২৫ এবং সংবর্ধিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'যাঁরা দশ বছর ধরে চাকরি করেছেন, তাঁরাও আজ অযোগ্য প্রমাণিত হয়েছেন। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। হয়তো তাঁরা শিক্ষক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন না, কিন্তু তাঁদের অন্তত গ্রুপ সি-র চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। আমাদের সরকার মানবিক সরকার।'
এর পাশাপাশি বাংলার শিক্ষার ইতিহাস ও গৌরবকেও স্মরণ করান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'একসময় বাংলার অ্যাসেম্বলিতেই সতীদাহ প্রথা রদের বিল পাশ হয়েছিল, যা পরে গোটা দেশে গৃহীত হয়। বিদ্যাসাগর বাল্যবিবাহ রদ করেছিলেন। বাংলাই পথ দেখিয়েছে। আমরা যেন আমাদের অস্তিত্ব ভুলে না যাই।'
কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, মেধাশ্রীর মতো প্রকল্পগুলির উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এর ফলে রাজ্যে স্কুলছুটের হার কার্যত শূন্যে নেমে এসেছে। তিনি আরও জানান, এবারে সেরা স্কুলগুলির তালিকায় রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলগুলিই প্রাধান্য পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে সেরা ১২টি স্কুলকে শিক্ষা ও খেলাধুলায় উৎকর্ষের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া মোট ৭৩ জন শিক্ষক শিক্ষারত্ন সম্মান পান, যাঁদের মধ্যে ৩৯ জন স্কুলশিক্ষক, ২১ জন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ১৩ জন ভোকেশনাল ও আইআইটি-সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্ত শিক্ষক।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শিক্ষকদের হাতে মানপত্র, শাল, ঘড়ি, স্মারক, বই ও ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল শিক্ষককে শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “যাঁরা সমাজ গড়েন, যাঁরা শিক্ষালয় গড়েন, তাঁদের আমি সর্বোচ্চ সম্মান করি।”