সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। তাঁরা সকলেই ২০১৬ সালে SSC নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারানোর পর 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। তাঁরা পরীক্ষা ছাড়াই চাকরিতে পুনর্বহাল হতে চান। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা। দিয়েছিলেন ডেডলাইনও। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার নবান্ন থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তারিখ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একনজরে দেখে নিন সেই গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলি...
> ৩০ মে: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩০ মে-র মধ্যে নতুন করে পরীক্ষায় বসার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে শিক্ষা দফতর। যদিও এতে আপত্তি রয়েছে চাকরিহারাদের একাংশের। তবে মমতা বলেন, 'আমরা এটা করতে বাধ্য হচ্ছি। যেহেতু গরমের ছুটির জন্য এখনও রিভিউ পিটিশন করা যায়নি। এথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে ৩১ মে-র মধ্যে নোটিফিকেশন করতে হবে'।
> ১৬ জুন: পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হবে।
> ১৪ জুলাই: অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের শেষ দিন।
> ১৫ নভেম্বর: পরীক্ষার্থীদের প্যানেল প্রকাশ হবে।
> ২০ নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাউন্সেলিং হবে ২০ নভেম্বর।
সুপ্রিম কোর্ট এই গোটা প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রিভিউ পিটিশন করার পরও বিচার না পেলে লিখিত পরীক্ষা, স্ক্রুটিনি, চ্যালেঞ্জ, রেজাল্ট পাবলিকেশন, ইন্টারভিউ এই সময়সীমার মধ্যেই শেষ করা হবে।
নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এদিন মমতা বলেন, ‘রিভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বললে হবে না, পরীক্ষা দেব দেব না। তাহলে চাকরিই তো থাকবে না। এটা আমাদের নির্দেশ নয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। সরকার কোর্টে গিয়ে বাতিল করেনি। আমারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কিছু করিনি। কিছু স্বার্থপর মানুষ এই বাতিল করেছেন। আজ তাঁরা বন্ধু হয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন। সকলকে বলব, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী, দু'টো অপশনই খোলা রাখা হচ্ছে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, আইনজীবীরা সাধ্যমতো লড়বেন তবে বিচারের দায়িত্ব বিচারপতিদের হাতে। মানবিক ভাবে তুলে ধরা হবে যাতে চাকরি বাতিল না হয়।'