রিজেন্ট পার্কে প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি NRC আতঙ্কে আত্মহত্যা

জানা গিয়েছে, দিলীপ সাহা ১৯৭২ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে কলকাতায় আসেন। থাকতেন রিজেন্ট পার্ক এলাকার অনন্দপল্লি পশ্চিমে। ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি স্কুলের অশিক্ষক কর্মী ছিলেন।

Advertisement
রিজেন্ট পার্কে প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি NRC আতঙ্কে আত্মহত্যারিজেন্ট পার্কে প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি NRC আতঙ্কে আত্মহত্যা
হাইলাইটস
  • দিলীপ সাহা ১৯৭২ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে কলকাতায় আসেন
  • থাকতেন রিজেন্ট পার্ক এলাকার অনন্দপল্লি পশ্চিমে

ঘর থেকে উদ্ধার হল এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার রিজেন্ট পার্কে। মৃতের নাম দিলীপ সাহা। পরিবারের দাবি, এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। তাঁকে ও পরিবারকে বাংলাদেশে পাঠানো হতে পারে। এই আতঙ্ক তাঁকে গ্রাস করছিল। অনুমান, সেই আতঙ্ক থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন ওই বৃদ্ধ। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, দিলীপ সাহা ১৯৭২ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে কলকাতায় আসেন। থাকতেন রিজেন্ট পার্ক এলাকার অনন্দপল্লি পশ্চিমে। ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি স্কুলের অশিক্ষক কর্মী ছিলেন। রবিবার সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় স্ত্রী একাধিকবার ডাকাডাকি করেন। স্বামীর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পাশের বাড়ি থেকে ভাগ্নেবউ পিঙ্কি সাহাকে ডাকেন স্ত্রী। পাড়া প্রতিবেশীরাও এসে যান। পরে ঘরের দরজা ভাঙা হয়। ঘর থেকে উদ্ধার হয় দিলীপের ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

মৃতের পরিবারের দাবি, এনআরসি আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। ৭ দিন ধরে আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ করে দেন। ঘরে বসে থাকতেন আর টিভি দেখতেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

POST A COMMENT
Advertisement