scorecardresearch
 

Manoranjan Byapari : 'বালি-কয়লা-খাদান খেয়েও পেট ভরছে না?' বিস্ফোরক মনোরঞ্জন

'আমি প্রথমত একজন লেখক। তারপর বিধায়ক। আমি তিন দিনের বিধায়ক। আজ আছি, কাল কী হবে জানি না। তাই যা বলেছি লেখক হিসেবেই বলেছি।'

Advertisement
মনোরঞ্জন ব্যাপারী মনোরঞ্জন ব্যাপারী
হাইলাইটস
  • 'আমি তিন দিনের বিধায়ক'
  • 'আজ আছি, কাল কী হবে জানি না।'

'ঘেউ ঘেউ' মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। ডিএ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ তাঁদের কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সরকারি কর্মীদের একাংশের আরও দাবি, এর আগেও সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রী কুকথা বলেছিলেন আন্দোলনকারীদের। তাঁদের দলেই নাম লেখালেন মনোরঞ্জন। যদিও মনোরঞ্জন ব্যাপারীর দাবি, তিনি এই পোস্ট করেছেন সচেতন ভাবেই। কিন্তু কেন সচেতনভাবে ফেসবুকে এমন পোস্ট করলেন ওই বিধায়ক? বাংলা.আজতক.ইন-র কাছে মুখ খুললেন তিনি। 

আপনি কি সরকারি কর্মীদের লক্ষ্য করে এই পোস্ট করেছেন ? 

মনোরঞ্জন : কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আমি এই পোস্ট করিনি। দেশের ৭৩ শতাংশ সম্পদ এখন এক শ্রেণির মানুষের হাতে। তারা বালি খাচ্ছে, কয়লা খাচ্ছে, নদী খাচ্ছে সব খাচ্ছে। তারপরও আরও চাইছে। একটা মানুষ কত টাকা পেলে শান্তি পাবে। এই যে আরও চাই-এর দল, তাদের জন্যই বৃহৎ অংশের মানুষ আরও গরিব হচ্ছে। 

আপনার দলের বিরুদ্ধেও তো দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগ আসছে ? 

মনোরঞ্জন : আমি প্রথমত একজন লেখক। তারপর বিধায়ক। আমি তিন দিনের বিধায়ক। আজ আছি, কাল কী হবে জানি না। তাই যা বলেছি লেখক হিসেবেই বলেছি। আমি সামগ্রিকভাবে গোটা সমাজের কথা বলতে চেয়েছি। আমি একদল মানুষের কথা ভেবেই কথা বলে এসেছি, বলবও। তাতে যা হওয়ার হবে। বিশেষ কোনও শব্দবন্ধের জন্য অনেকে আমাকে আক্রমণ করছেন, তাতে আমি কিছু মনে করি না। 

এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘেউ ঘেউ শব্দ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। তখনও সরকারি কর্মীরা প্রতিবাদ করেছিলেন। এখন আপনি একই মন্তব্য করলেন। সরকারি কর্মীরা এতে অপমানিত হবেন, সেটাই স্বাভাবিক নয় কি ? 

মনোরঞ্জন : মুখ্যমন্ত্রী এই শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন বলে আর কেউ করতে পারবে না। এমন তো নয়। শব্দ ঘুরে ফিরে আসবে সেটাই স্বাভাবিক। অন্য নেতারাও অনেক শব্দ ব্যবহার করেন, সেই শব্দগুলো কি তাহলে আমরা ফেলে দেব ? আর আমি অত মেপে কথা বলি না। আমি অনেক খোলামেলা মানুষ। আর মানুষ যখন কথা বলে তখন সে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলে। আমি দেখে এসেছি, সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হয়ে এসেছে। আজও হচ্ছে। তাই তাদের জন্য আমি কথা বলবই। আর তা নিজের ভাষাতেই।

Advertisement

কিন্তু সেই সম্পদশালীদের তালিকায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীও তো রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে

মনোরঞ্জন : আমি আবার বলছি কোনও নির্দিষ্ট কারও নাম বলব না। সেটা আমার লক্ষ্যও নয়। তবে এটা ঠিক এই তালিকায় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, প্রভাবশালীরা রয়েছেন। আমি আমার দলের বা অন্য দলের নেতা-মন্ত্রী কারও সম্পর্কে কিছু বলব না। পোস্টে যা বলেছি, সেটাই শেষ কথা। 

তাহলে আপনি ভয় পাচ্ছেন, দলের কাছে সেন্সর হওয়ার ভয় ? 

মনোরঞ্জন : আমি এসব নিয়ে কোনও মন্তব্য করবই না আর। আমি একটা দলে আছি। তার কিছু নিয়ম আছে। সেগুলো আমাকে মানতেই হবে। আর কোন কথাটা দলের বিরুদ্ধে বলা হবে, সেটা তো বুঝি। তাই আর কোনও মন্তব্য করব না। 


 

Advertisement