ঘর্ণিঝড় দানার হানার মাঝেই শহরে অগ্নিকাণ্ড। বুধবার সন্ধ্যায় টেরিটি বাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে একের পর এক দোকান। টেরিটি বাজারের উল্টো দিকে একটি কাঠের বাক্সের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। সেখান থেকেই আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর। প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন যায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
যা খবর, আরও দমকলের ইঞ্জিন আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, যে জায়গায় এই আগুন লেগেছে সেখানে বিশাল আলোর বাজার। কালীপুজোর আগে বহু মানুষ সেখানে কেনাকাটা করছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে বহু মানুষ আটকে পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও দমকলের দাবি, সবাইকে সরিয়ে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আগুন নেভানোটাই বড় চ্য্যলেঞ্জ। গোটা এলাকা এতটাই ঘিঞ্জি যে যে কোনও সময় আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার সন্ধ্যায় টেরিটি বাজার সংলগ্ন একটি কাঠের গুদামে প্রথম আগুন লাগে। ওই গুদামে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত করা ছিল বলে খবর। ফলে মুহূর্তের মধ্যে বিধ্বংসী একেবারে আগুন ধরে যায়। একেবারে লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। শুধু তাই নয়, কাঠের গুদামে সংলগ্ন দোকানগুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর।
দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় শেষপর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, রাত ৯টা ১৫মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আনাচে কানাচে কিছু জায়গায় আগুন এখনও রয়ে গিয়েছে। সেগুলিও নেভানোর কাজ চলছে। কী ভাবে আগুন লাগল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। টেরিটি বাজারের উল্টো দিকে কাঠের বাক্সের একটি গুদামে আগুন লেগেছিল। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের একাধিক দোকানে। আগুনের তীব্রতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন অন্য ব্যবসায়ীরাও। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। কাঠের বাক্সের যে গুদামে প্রথমে আগুন লেগেছিল, তার পাশেই বিদ্যুতের তারের একটি গুদাম রয়েছে বলে খবর। ফলে প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত ছিল বলে অনুমান দমকলকর্মীদের। সেই কারণেই আগুন দ্রুত আশপাশের দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অনুমান।