Messi in kolkata chaos: 'আমরা টিকিট কেটে দেখলাম অরূপ বিশ্বাসকে', যুবভারতীতে ক্ষোভ দর্শকদের

শনিবার দুপুরে লিওনেল মেসি মাঠ ছাড়তেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। মেসিকে এক ঝলক দেখার আশায় চড়া দামে টিকিট কেটে আসা হাজার হাজার দর্শকের ক্ষোভ উগরে পড়ে মাঠে। ভিভিআইপি গ্যালারির নিচ থেকে প্রথম জলের বোতল ছোড়া হয়। এরপরই এক নম্বর গেট সংলগ্ন স্ট্যান্ড থেকে ওঠে স্লোগান-‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।

Advertisement
'আমরা টিকিট কেটে দেখলাম অরূপ বিশ্বাসকে', যুবভারতীতে ক্ষোভ দর্শকদেরমেসি মাঠ ছাড়তেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • শনিবার দুপুরে লিওনেল মেসি মাঠ ছাড়তেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন।
  • মেসিকে এক ঝলক দেখার আশায় চড়া দামে টিকিট কেটে আসা হাজার হাজার দর্শকের ক্ষোভ উগরে পড়ে মাঠে।

শনিবার দুপুরে লিওনেল মেসি মাঠ ছাড়তেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। মেসিকে এক ঝলক দেখার আশায় চড়া দামে টিকিট কেটে আসা হাজার হাজার দর্শকের ক্ষোভ উগরে পড়ে মাঠে। ভিভিআইপি গ্যালারির নিচ থেকে প্রথম জলের বোতল ছোড়া হয়। এরপরই এক নম্বর গেট সংলগ্ন স্ট্যান্ড থেকে ওঠে স্লোগান-‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।

সকাল আটটা থেকেই স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। প্রচণ্ড রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন দর্শকরা, যাঁদের মধ্যে বহু শিশু ও পরিবার ছিল। প্রায় সাড়ে এগারোটার সময় মেসি মাঠে ঢোকান। মুহূর্তে উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়লেও অভিযোগ, আয়োজক, নিরাপত্তারক্ষী, মন্ত্রী ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের ভিড়ে সাধারণ দর্শকরা মেসিকে চোখে দেখতেই পাননি। মেসি মোট ২০-২৫ মিনিট মাঠে থাকলেও অধিকাংশ দর্শকের ভরসা ছিল শুধু জায়ান্ট এলইডি স্ক্রিন।

 

এই বঞ্চনার অনুভূতি থেকেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গ্যালারিতে শুরু হয় ভাঙচুর, মাঠে পড়তে থাকে বোতল। দর্শকদের প্রথম ও প্রধান দাবি, টিকিটের পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে। যেহেতু গোটা অনুষ্ঠানটি ‘আ শতদ্রু দত্ত ইনিশিয়েটিভ’ নামে প্রচারিত, তাই আয়োজক শতদ্রু দত্ত এবং টিকিট বিক্রির সংস্থা ‘ডিস্ট্রিক্ট’-এর বিরুদ্ধে সরব হন দর্শকরা।

উল্লেখযোগ্যভাবে, টিকিটের দাম ছিল ৪ হাজার থেকে শুরু করে ১০-১১ হাজার টাকা পর্যন্ত। বহু পরিবার একসঙ্গে আসতে গিয়ে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করেছেন। অনেক তরুণ পকেট মানি জমিয়ে টিকিট কেনেন। এক দর্শকের কথায়, “মাসের মাইনের টাকা দিয়ে পরিবার নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু বিনিময়ে পেলাম হতাশা।”

মাঠের ভিতরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বারবার মাইকে অনুরোধ করেন শতদ্রু দত্ত। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান। কিন্তু পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা চোখে পড়েনি। উল্টে নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশকে সেলফি তুলতেও দেখা যায়। সব মিলিয়ে যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা কলকাতার ক্রীড়া ইতিহাসে এক লজ্জার অধ্যায় হয়ে রইল বলেই মত ক্রীড়াপ্রেমীদের।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement