একের পর এক রেকর্ড করেই চলেছে কলকাতা মেট্রো। পঞ্চমীতেই ৯.৮২ লক্ষ যাত্রী সামলেছে শহরের লাইফলাইন। আর এটাই কলকাতা মেট্রোর যাত্রী বহন করার রেকর্ড বলে জানা গিয়েছে। এর আগে গত বছর ষষ্ঠীতে ৯.৬১ লক্ষ মানুষ একদিনে মেট্রো চড়েছিল। আর পঞ্চমীতে চড়েছিলেন ৯.৪৫ লক্ষ। আর এ বারের পঞ্চমীতে সেই সব রেকর্ড ভেঙে গেল।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয়েছে, ২৭ সেপ্টেম্বর ব্লু লাইন মেট্রোতে ৭.৪৩ মানুষ চড়েছেন। আর গ্রিন লাইনে চেপেছেন ২.২১ লক্ষ মানুষ।
আর এই তথ্য আরও একবার প্রমাণ করল যে কলকাতার লাইফলাইন হিসাবে মেট্রোর কোনও বিকল্প নেই। শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য মানুষ এর উপরই নির্ভর করে। একবার চাপলেই অনায়াসে সস্তায় নিরাপদ ভাবে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়।
ভিড় কেন এত বেশি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বার মেট্রোয় রেকর্ড ভিড় হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, ব্লু লাইনের পাশাপাশি এ বার যুক্ত হয়েছে হাওয়া থেকে করুণাময়ী রুট এবং নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট রুট। অর্থাৎ সহজ ভাষায় শহরের অন্দরে আরও ছড়িয়ে পড়েছে মেট্রো পরিষেবা। ফলে স্বভাবতই ভিড় বেড়েছে মেট্রোয়।
হতে পারে রেকর্ড
পঞ্চমীতে এই রেকর্ড ভিড় হয়েছে ঠিকই। তবে পুজো এখনও বাকি। সামনের দিনগুলিতে আরও ভিড় বাড়তে পারে। হতে পারে নতুন নতুন রেকর্ড বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই পরিষেবা ঠিক রাখতে এখন থেকেই বদ্ধপরিকর মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাঁদের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ডিজিটাল পরিষেবা নিতে বলছে মেট্রো
এই ক'দিন খুব বেশি হবে বলেই ধরে নিচ্ছে মেট্রো। সেই মতো তাঁরা সকল যাত্রীদের কাউন্টার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর স্মার্ট কার্ড এবং মোবাইলে কিইআর টিকিট কাটার দেওয়ার হচ্ছে পরামর্শ। এ ভাবে টিকিট কাটলে বা রিচার্জ করেল ৫ শতাংশ রিবেট পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে এড়ানো যাবে কাউন্টারের ভিড়।
আর মেট্রো এই বার্তায় ইতিমধ্যেই সাড়া মিলেছে। তথ্য বলছে, ১.০৫ লক্ষ যাত্রী মোবাইল কিউআর-এ টিকিট কেটেছে। আর এটাই বিরাট সাফল্য বলে মনে করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর এই ট্রেন্ড আরও বাড়বে। আগামিদিনে আরও মানুষ এ ভাবে টিকিট কাটবেন বলে মনে করা হচ্ছে।