Mithun Chakraborty RG Kar Protest : আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় নামছেন মিঠুন

আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই পথে নেমেছেন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না। দিন যত গড়াচ্ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ তত বাড়ছে। রাত দখল, প্রতিবাদ, মিছিল, অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সমাজের সবস্তরের মানুষ। তারই মধ্যে রাস্তায় নামবেন মিঠুন চক্রবর্তী। 

Advertisement
 আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় নামছেন মিঠুনmithun chakraborty
হাইলাইটস
  • আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই পথে নেমেছেন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী
  • তাঁরা সাফ জানিয়েছেন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না
  • দিন যত গড়াচ্ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ তত বাড়ছে

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ আগেই জানিয়েছিলেন। এই আন্দোলনের জন্য তিনি গর্বিত। মন্তব্য করেছিলেন মহাগুরু। এবার  কলকাতা রাস্তায় প্রতিবাদে নামছেন তিনি। বুধবার চিকিৎসক কুনাল সরকার, সুকুমার মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে 'বিবেক জাগরণ' যাত্রায় অংশ নেবেন তিনি। 

এই কর্মসূচির উদ্যোক্তারা জানান, ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শিকাগোতে বক্তৃতা রেখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেই বিশেষ দিনে ভারতকে অন্যভাবে দেখেছিল গোটা বিশ্ব। যেন বিবেক জাগরণ হয়েছিল। সেই দিনকে স্মরণ করেই কলকাতায় এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ হেদুয়ায় স্বামীজির পৈতৃক বাসস্থান থেকে মিছিল শুরু হবে। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে শেষ হবে তাঁদের কর্মসূচি। এই মিছিলে অংশ নেবেন মিঠুন চক্রবর্তী। 

আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই পথে নেমেছেন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না। দিন যত গড়াচ্ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ তত বাড়ছে। রাত দখল, প্রতিবাদ, মিছিল, অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সমাজের সবস্তরের মানুষ। তারই মধ্যে রাস্তায় নামবেন মিঠুন চক্রবর্তী। 

আরজি করের ঘটনা সামনে আসার পর মিঠুন চক্রবর্তী এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। তিনি প্রতিবাদে সামিল হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। সেই সময় বলেছিলেন, 'বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারাচ্ছি। আমি অনেক দিন ধরে, অনেক জায়গায় একই কথা বলে এসেছি যে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় কাম্য।' 

মিঠুন এই কথা যখন বলেছিলেন তখনও বাংলাজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ চলছিল। তবে পরবর্তীতে তা আরও বাড়ে। তারপর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতা বিমানবন্দরে বলেছিলেন,'এই বাংলায় দেখতে চেয়েছিলাম। দেখতে পাচ্ছি। খুব আনন্দ হচ্ছে। আমরা যেন এই আন্দোলনে সবাই একসঙ্গে থাকি। আর আমি বলছি মানে এটা নয় যে, বিজেপি বলছে। ব্যক্তি আমি বলছি। এটা মিঠুন চক্রবর্তী বলছে। এই আন্দোলনে আমরা সবাই যেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে পথে নামি।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement