সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দাগি অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের নামের তালিকা গত শনিবার প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকার ১০৪ নম্বরে নাম রয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীর। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২২ সালে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র আধিকারীর মেয়ের চাকরি আগেই গিয়েছিল। ফেরত দিয়ে হয় টাকাও। এবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী ও তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। বুধবার দুপুরে আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেছেন বাবা-মেয়ে।
একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আজ বুধবার সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দেন তৃণমূল নেতা পরেশ এবং তাঁর কন্যা অঙ্কিতা। অন্যদিকে গ্রুপ সি দুর্নীতি মামলায় এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৎকালীন আপ্তসহায়ক সুকান্ত আচার্যও।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ মামলায় চাকরি যায় রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি যায় তাঁর। অভিযোগ ওঠে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদে প্রাক্তন মন্ত্রীর মেয়ের নিয়োগ বেআইনি। এমনকী প্রভাব খাটিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তাঁর মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ সামনে আসে। নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক সময় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন পরেশ অধিকারী এবং তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা।
সম্প্রতি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। এর আগে গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়ও জমা পড়েছে চার্জশিট। সব মিলিয়ে ৭৫ জনকে আদালতে তলব করা হয়েছে। সেই আবহেই বুধবার আত্মসমর্পণ করলেন পরেশ ও অঙ্কিতা। বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে ২০২২ সালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি হারান অঙ্কিতা। তাঁর কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হয় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বেতন।