তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটু ট্যুইট ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। দু'দিন আগে তাঁর দাবি, অতি বড় পদে থাকা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লালবাজারে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ জমা পড়েছে। যা নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মন্ত্রী, আমলা, এমনকি বিরোধী দলের নেতারাও অনেকে তলে তলে খোঁজ করতে শুরু করে দিয়েছেন, কে সেই বড় কর্তা।
যে মহিলা এই অভিযোগ করেছেন, তিনি একজন নৃত্যশিল্পী। তাঁর স্বামী কূটনীতিক বলে জানা যাচ্ছে। ওই মহিলার দিল্লিতে যাতায়াতও রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে। এখন ওই বড় কর্তা তাঁর ফোন ধরছেন না। মোবাইলে তাঁর ফোন নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন। আর ল্যান্ডলাইনে ফোন করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অথচ তিনি নাকি অভিযোগকারিনী নৃত্যশিল্পীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পদের বন্দোবস্ত করে দেবেন।
যে বড় কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর সাংবিধানিক সুরক্ষা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণে নাকি কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে অভিযোগ জমা পড়লেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করতে পারেননি বলে খবর। তবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিষয়টি নবান্নে পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে এই অভিযোগপত্র মমতার সচিবালয়েই গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গোটা বিষয়টাই রহস্যাবৃত। ওই ব্যক্তির পরিচয় কৌশলগত কারণেই জানাচ্ছে না কেউই। এমনকী মহিলার অভিযোগের ব্যাপারে সোমবার সকালে টুইট করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে কুণালও ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি। মহিলার নামও অনিবার্য কারণেই প্রকাশ করা হয়নি। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে পরিচয় প্রকাশ করা যায়ও না।
যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তিনি অবশ্যই শাসক দলের কেউ নন। কারণ, শাসক দলের কেউ সাংবিধানিক রক্ষাকবচ পান না। তবে এ ঘটনা চাউর হতেই রাজ্যের আমলা ও রাজনীতি মহলে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে কেউই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না।