মোমিনপুর সংঘর্ষ-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশের পর শনিবার মোমিনপুর পরিদর্শন করল এনআইএ-র একটি টিম। এ দিন প্রথমে লালবাজারে যান তদন্তকারীরা। তার পর ঘুরে দেখেন মোমিনপুর। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। লক্ষ্মীপুজোর সময় ওই এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগের অভিযোগ ওঠে একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ।
এ দিন এনআইএ-র সুপার ভিআর সিংয়ের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৪-৫ জন স্পেশাল অফিসার। একবালপুর-মোমিনপুরে হিংসা ছড়িয়ে যে এলাকায় সেখানে খতিয়ে দেখেন। ওই দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ডেপুটি কমিশনার সৌম্য রায়-সহ একাধিক পুলিশ কর্মী। শনিবার বিকেল ৩টে ১০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনআইএ-র টিম। গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর প্রথমে বেরিয়ে যান। তার পরও বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তদন্তের কাজ।
শনিবার দুপুর প্রায় পৌনে একটা নাগাদ লালবাজারে পৌঁছয় এনআইএ-র ওই টিম। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশে যে সিট গঠিত হয়েছে তাদের তদন্ত কী কী উঠে এসেছে তা খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, মোমিনপুরের ঘটনায় ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫২, ৩০৭, ৩৩২, ৩৫৩, ৪২৭, ৪৩৬, ও ৪,৫,৬, ২৪, ২৭ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩ জনকে।
গত ৯ অক্টোবর পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় মোমিনপুরে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। কলকাতা হাইকোর্টে জানতে চায়, ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পর মোমিনপুরের ঘটনার তদন্তে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল,ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে। আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে পরবর্তী শুনানিতে। এনআইএ তদন্ত হবে কি না, তা কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপরই কেন্দ্রের নির্দেশে এনআইএ আসরে নামল এনআইএ।
আরও পড়ুন- শেষ ঘটেছিল ১৯৯৫ সালে, মঙ্গলে সূর্যগ্রহণ বাংলায় ঘোর অমঙ্গল!