১৬ থেকে ১৭ দিন আগে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। অথচ দক্ষিণবঙ্গে আসার নামগন্ধ নেই। বদলে ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত দক্ষিণবঙ্গবাসীর। তবে এবার সুখবর দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। জানা যাচ্ছে, নতুন এই সপ্তাহেই শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।
দেশে বর্ষা নামার নির্ধারিত তারিখ ১ জুন। এ বছর তার কয়েক দিন আগেই কেরলে প্রবেশ করেছিল (২৪ মে)। উত্তরবঙ্গে সাধারণত বর্ষা ঢোকে ৭ জুন নাগাদ। এ বছর ঢুকেছে ২৯ মে। তারপর থেকেই জ্বালাপোড়া গরমের হাত থেকে মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুণছেন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গেরল অন্যান্য জেলার মানুষজন। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামার তারিখ ১৫ জুন। এ বছর সেই তারিখ সামান্য হলেও পিছোল।
মে-র শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি পেয়েছে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের মানুষও। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের জেরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে পৌঁছে গিয়েছে। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে পুরোপুরি বর্ষার প্রবেশ ঘটছে, ততক্ষণ এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে একসঙ্গে একজোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণাবর্ত বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে এবং অন্যটি অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব উপকূলের কাছে রয়েছে। এর প্রভাবে নতুন সপ্তাহেই শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। ফলে বঙ্গোপসাগরে তৈরি এই ওয়েদার সিস্টেমের হাত ধরেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ হতে চলেছে।
সোমবার দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অতিভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোয় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবারও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব বেশি।