Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদের ঘর ছাড়াদের নিয়ে অবশেষে DGP-র সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলেন সুকান্তরা

মুর্শিদাবাদে হিংসার আক্রান্ত ঘর ছাড়াদের নিয়ে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে ধর্না বিজেপির। ১১ জন আক্রান্ত ঘরছাড়া রয়েছেন তাদের সঙ্গে। হাতে কালো ব্যান্ড পরে প্রতিবাদ বিজেপির। রয়েছেন রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, তাপস রায়-সহ অন্যরা।

Advertisement
মুর্শিদাবাদের ঘর ছাড়াদের নিয়ে অবশেষে DGP-র সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলেন সুকান্তরাDGP-র সঙ্গে দেখা করতে চান, ঘর ছাড়াদের নিয়ে ভবানী ভবনের সামনে ধর্না সুকান্তর
হাইলাইটস
  • মুর্শিদাবাদ হিংসার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
  • এসপি পদমর্যাদার একজন অফিসাররে নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি এসআইটি নিযুক্ত করা হয়েছে

আপডেট - 

  • সন্ধে সাতটা বাইশ মিনিট নাগাদ সুকান্ত মজুমদারদের ভবানী ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মতো ১১ জন আক্রান্ত এবং চার বিজেপি নেতা ভবানী ভবনে গিয়েছেন 

মুর্শিদাবাদে হিংসার আক্রান্ত ঘর ছাড়াদের নিয়ে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে ধর্না বিজেপির। ১১ জন আক্রান্ত ঘরছাড়া রয়েছেন তাদের সঙ্গে। হাতে কালো ব্যান্ড পরে প্রতিবাদ বিজেপির। রয়েছেন রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, তাপস রায়-সহ অন্যরা। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখার করার আর্জি তাদের। যদিও এক ঘণ্টা পার হলেও রাজীব কুমার আসেননি। সূত্রের খবর, জরুরি বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। এদিকে, ভবানী ভবনের সামনে বসে পড়ায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তর্কে জড়ান ডিসি সাউথ।

বিজেপির অভিযোগ, মহিলাদের ধর্মান্তকরণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই এখনও ঘরছাড়া রয়েছেন। রাজীব কুমার মুর্শিদাবাদ গেলেও আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি বাইরে বেরিয়ে এসে কথা বলুন।' এদিকে, এক আক্রান্ত জানিয়েছেন, বিএসএফ ওখানে ক্যাম্প না করলে তাঁরা ঘরে ফিরবেন না।

এদিকে, ইতিমধ্য়েই মুর্শিদাবাদ হিংসার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, তদন্ত শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত এসপি পদমর্যাদার একজন অফিসাররে নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি এসআইটি নিযুক্ত করা হয়েছে। ৩ জন ডিএসপি এবং ৬ জন ইন্সপেক্টর এই বিশেষ দলে রয়েছেন। সিআইডি, আইবি, এসটিএফ এবং জেলা পুলিশের অফিসাররা এই দলে রয়েছেন।

সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একটি অংশ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেক বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালানো ও আগুন লাগানো হয়েছে। ঘরছাড়া অনেকে। তাঁরা মালদা-সহ অন্য জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দল ইতিমধ্যেই এনিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও বারবার মুর্শিদাবাদের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন। আক্রান্তদের তরফেও এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এনআইএ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আহবায়ক অমিয় সরকার।

Advertisement

বুধবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে সরকারের বক্তব্য তুলে ধরেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বহিরাগত ঢুকিয়ে অশান্তি ছড়ানো হয়েছে। এজেন্সি দিয়ে লোক নিয়ে এসে হামলার চক্রান্ত করা হয়েছে। এদিন প্রথমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইদের পর একটি বৈঠক করার কথা আগেই হয়েছিল। ৭ এপ্রিল সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে পিছিয়ে ১৬ তারিখ করা হয়। এই বৈঠক আমি ডাকিনি। ইমামরা আমাকে ডেকেছেন। আমরা এসেছি। এরপরেই মুর্শিদাবাদের অশান্তি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'কিছু প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে গণ্ডগোল হয়েছে, সেটা মুর্শিদাবাদ আসন নয়, মালদার আসন। কংগ্রেসের জেতা আসন। জেতার সময় জিতবে। দাঙ্গা হলে রাস্তায় বেরবে না, এটা আশা করি না। জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে থাকতে হবে।' মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'কোনও এজেন্সির মাধ্যমে ওখান থেকে (বাংলাদেশ) লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা। বিএসএফ বর্ডার সামলায়। বিজেপির বাইরে থেকে লোক নিয়ে এল, উত্তর দিতে হব। ভাগাভাগি করতে চাইছে কেন্দ্রের জুমলা সরকার।'

এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'হোম মিনিস্টার কালীদাসের মতো ডাল ভাঙার চেষ্টা করছে। আপনি কোনও দিন প্রধানমন্ত্রী হবেন না, মোদী চলে যাওয়ার পর কী করবেন? সবচেয়ে দেশের ক্ষতি করেছেন আপনি। প্রধানমন্ত্রীকে বলব দয়া করে লোকটাকে কন্ট্রোল করুন।'

POST A COMMENT
Advertisement