সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আজ অশান্তি বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি প্রথমে বহরমপুর যাবেন। এদিন তাঁর কোনও ঘোষিত কর্মসূচি নেই। আগামিকাল, মঙ্গলবার, ৬ মে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়৷ ওই দিন ধুলিয়ানে তিনি সাম্প্রতিক অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁদের হাতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য তুলে দেবেন। যাঁদের বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে তাঁদের হাতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আর্থিক অনুদান তুলে দেবেন। সেই কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনেও এদিন বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বহরমপুর রওনা হওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি চাইলে আগেই মুর্শিদাবাদ যেতে পারতাম। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কর্মসূচিও ঠিক করা ছিল। দিঘা সফর শেষ হতেই এবার মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন তিন। বুধবার ধুলিয়ানে হিংসা বিধ্বস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করবেন। সাহায্যও তুলে দেবেন। তাঁদের কথা শুনবেন। ক্ষতি হওয়া দোকানও নির্মাণ করে দেবেন। কিন্তু যদি কেউ নিতে না চায় তাহলে সরকারের কিছু করা নেই বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রাজ্যপালের রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে করা রিপোর্টি নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেছেন রাজ্যপালে। ওয়াকফ অশান্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা পড়েছে রাজ্যপালের রিপোর্ট। এই বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে অসুস্থ রাজ্যপালের দ্রুত সুস্থতা কামনাও করেছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথ মন্দির বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন এদিন। জানিয়ে দেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরকে তিনি সম্মান করেন। শিব ও কালী মন্দির দেশের নানা প্রান্তে রয়েছে। জগন্নাথ মন্দির নিয়ে সমস্যা কোথায়? এই নিয়ে বিজেপির সমালোচনার কড়া ভাষায় উত্তর দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।