নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা, সাংসদ অগ্নিমিত্রা পাল-সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মোট সাতটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযানের সময় পাঁচজন পুলিশকর্মী গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। ইতিমধ্যেই জহরলাল নেহেরু রোডে পুলিশের ওপর হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, শান্তিপূর্ণভাবে নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ চালিয়েছে। এমনকি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত চিকিৎসক ছাত্রীর মা–বাবাকেও পুলিশ মারধর করেছে বলে দাবি তাঁর। শুভেন্দুর বক্তব্য, “মনোজ ভার্মার পুলিশ অভয়ার মা–বাবাকেও ছাড়েনি।” তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, পুলিশের হামলায় শতাধিক মানুষ জখম হয়েছেন এবং জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে। এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলে মত, অভিযানের পর থেকে পুলিশ ও বিজেপি দুই পক্ষের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ রাজ্য রাজনীতির পারদ ক্রমেই চড়িয়ে তুলছে। একদিকে বিজেপির দাবি, পুলিশ অকারণে বলপ্রয়োগ করেছে, অন্যদিকে পুলিশের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। ফলে, নবান্ন অভিযানের পরবর্তী রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়ছে।