প্রয়াত বাটুল দি গ্রেট ও নন্টে ফন্টের স্রষ্টা তথা বিখ্যাত কার্টুন শিল্পী নারায়ণ দেবনাথ। এদিন সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। নারায়ণ দেবনাথকে দেখতে কয়েকদিন আগে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তারপর থেকে তাঁর চিকিৎসার খরচ রাজভবন থেকে হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
পেয়েছেন একাধিক খেতাব
নিজের কাজের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবিভূষণ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন ডি. লিট সম্মান। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেয়েছেন পদ্মশ্রী খেতাবও। একের পর এক কাজের জন্য তিনি বিখ্যাত হয়েছিলেন।
হাঁদা ভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টে, বাহাদুর বেড়াল, ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু, কৌশিক রায় মতো বিখ্যাত কার্টুন চরিত্রের সবার মন কেড়ে নিয়েছিল। পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে বঙ্গসমাজে তাঁর কার্টুন ও লেখা মাতিয়ে রেখেছিল।
Extremely sad that the noted litterateur, illustrator, cartoonist, and creator of some immortal characters for children's world, Narayan Debnath is no more. He had created Bantul the Great, Handa- Bhonda, Nonte- Fonte, figures that have been etched in our hearts for decades.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 18, 2022
কার্টুন শিল্পে জনপ্রিয়তা
১৯২৫ সালে ২৫ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম ও বেড়ে ওঠা দুটোই হাওড়ার শিবপুরে। ছোট থেকেই ঝোঁক ছিল কার্টুন শিল্পে। কলেজ জীবনে বেশ কিছু বিজ্ঞাপন সংস্থায় তিনি কাজ করতেন। তারপরে কার্টুন শিল্পে পা রাখেন। নারায়ণ দেবনাথের প্রথম সৃষ্টি হাঁদা ভোঁদা। যা প্রবল জনপ্রিয় হয়। পাঠক সমাজেও সকলের মন কেড়ে নিন তিনি। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি নারায়ণ দেবনাথকে। তাঁর প্রথম রঙিন কার্টুন ছিল বাটুল দ্রি গ্রেট।
পাঠক সমাজে আজও জায়গা করে নিয়েছে
বিভিন্ন পুজোসংখ্যা, শুকতারাতেও তাঁর কার্টুনগুলো খণ্ড আকারে প্রকাশ করা হত। পাঠক সমাজে জনপ্রিয়তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। আজ সেই বিখ্যাত কার্টুনিস্ট চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কিন্তু রেখে গেলেন একরাশ স্মৃতি। এখনও বাংলা পাঠক সমাজে জায়গা করে রয়েছেন হাঁদাভোঁদা, বাটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টেরা। তবে বলা যায়, পাঠক সমাজে জায়গা করে নিলেও অভিভাবকহীন হল হাঁদাভোঁদা, নন্টে ফন্টেরা।