গত মার্চে নবান্নে গিয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। প্রায় ২০ মিনিট ধরে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সঙ্গে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের সাক্ষাতের পরেই জল্পনা ছড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন নওশাদ সিদ্দিকী। যদিও বৈঠক সেরে বেরিয়ে সেই জল্পনা জল ঢেলেছিলেন বিধায়ক নিজেই। এবার বিস্ফোরক দাবি করেছেন নওশাদ। তাঁর দাবি, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লা TMC-তে যোগদান করার অফার দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও করা হচ্ছে শাসকদলের পক্ষ থেকে।
সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন নওশাদ সিদ্দিকী। সোমবার সকালে ব্যাঙ্কশাল আদালতে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে যান নওশাদ। তিনি শওকতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করেন। এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে এদিন বলেন, 'আমি শওকত মোল্লাদের মতো গুণ্ডাদের কথার উত্তর দেব না, নওশাদ ভাই জানেন তিনি কী বলতে চেয়েছেন, গতবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে দেখা করার সময় কী কথা হয়েছে জানতে পারিনি, সেটা ক্লিয়ার করতে হবে, লোকসভায় ডায়মন্ড হারবার থেকে ভোটে লড়বেন বলে কোন অজ্ঞাত কারণে মাঠ ছেড়ে দিলেন, সেটা জানান, ভোটের ছয় মাস আগে এখন থেকে বলতে বলতে শুরু করলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বলবেন চাপ নিতে পারলাম না, তাই যেতে হল।'
প্রসঙ্গত, নওশাদ সিদ্দিকী এদিন বলেন, 'শওকত মোল্লা তাঁর বক্তব্যের এক জায়গায় বলেছেন, আমি নাকি বিজেপির কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা নিয়েছি। এই মর্মে আমার নামে মিথ্যাচার করছেন। পাবলিত ডমেনে আমার সম্মানহানি করছেন। আমি তো শওকত মোল্লার এই কথার উত্তর তো ওনার ভাষায় দিতে পারি না। তাই আমি আইনি ভাষায় উত্তর দিচ্ছে। আইনের মাধ্যমে শওকত সাহেবের কাছ থেকে জানতে চাইছি। কবে কোথায় টাকা নিয়েছি, ৫০০ টাকার নোট নাকি ১০০০ টাকার নোট নিয়েছি, কার মাধ্যমে নিয়েছি, কোর্ট কেসে জানান।' নওশাদ আরও বলেন, ক্রিমিন্যাল সাইট থেকে মামলা করেছেন। শওকত মোল্লাকে জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, 'যে যা খুশি বলে বেরিয়ে যাবেন, সেটা তো হতে পারে না। আমাকে ১৯টা মিথ্যা কেস দিয়েছে। সেটা মাথায় নিয়ে লড়াই চালাচ্ছি। অফার দিয়ে যখন আমাকে আটকাতে পারছে না, সামাজিকভাবে আমার মানসম্মান খারাপ করতে চাইছে। আমি স্বচ্ছ আছি, আত্মবিশ্বাস আছে, আইনের মাধ্যমে জবাব চাইছি।'