জামিন পেলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui)। ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ককে। সঙ্গে তাঁর বেশকয়েকজন সঙ্গীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন নওশাদ। অবশেষে বৃহস্পতিবার জামিন পেলেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ জানুয়ারি। দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে গত ওইদিন ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল (TMC) ও আইএসএফ কর্মীরা। সেই গন্ডগোলের আঁচ এসে পড়ে শহর কলকাতাতেও (Kolkata)। ওই দিন বিকালে কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশকর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পালটা ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ। সেই গন্ডগোলেই গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ বেশ কয়েকজনকে।
২টি থানায় মামলা
তারপর লাগাতার জেলেই ছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। বারংবার আদালতে খারিজ হয়ে যায় তাঁর জামিনের আবেদন। পাশাপাশি লাগাতার মুক্তির দাবি তুলতে থাকেন আইএসএফ সমর্থকেরা। হেয়ার স্ট্রিট ও নিউমার্কেট, ২টি থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। হেয়ার স্ট্রিট থানার পর ফের তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেয় নিউমার্কেট থানাও। অবশেষে এদিন জামিন মঞ্জুর হল নওশাদ সিদ্দিকীর।
আগে যা বলেছিলেন কাশেম সিদ্দিকী...
এদিকে নওশাদের গ্রেফতারির পর রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী। রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কাশেম বলেছিলেন, 'বাংলার মানুষ বিরাট সচেতন এখন। বাংলার মানুষ আর ঘুমিয়ে নেই। বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছে, কোন রাজ্যে বাস করছি। বাংলার সংখ্যালঘু আর ওইদিকে (তৃণমূলের দিকে) নেই'। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট একদম 'নিল' (শূন্য) হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন - জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে ১১ জনের জামিন মঞ্জুর, CBI-কে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের