পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকীকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এটাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোক্ষম চাল হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে কাসেমকে সেভাবে গুরুত্ব নিতে নারাজ আর এক পীরজাদা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর দাবি, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অনেকজন। সেই কারণে আলাদাভাবে সেই পদের গুরুত্ব রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ছাব্বিশের নির্বাচন নিয়ে তিনি যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তা সাংবাদিকদের সামনে পরিষ্কার করে দেন নওশাদ। তিনি বলেন, 'আমি তো চাই ভাঙড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। তখন দেখা যাবে। তৃণমূলের অন্য কোনও নেতা আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াক সেটা আমি চাই না।'
কাসেম সিদ্দিকী তাঁর পরিবারের সদস্য। আইএসএফ-এ যোগ না দিয়ে শাসকদলে নাম লেখানোয় তিনি কি খুশি? এই প্রশ্নের উত্তরও দেন নওশাদ। বলেন, 'কাসেম ভাই তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁকে রাজনৈতিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি নই। কারণ, তৃণমূল একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এই দলের ব্যর্থতা, চুরির জন্য ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল হয়েছে, আনিস খুন হয়েছে। তবে আমি মনে করি আরও বেশি বেশি করে ধর্মীয় গুরুদের রাজনীতিতে আসা উচিত। কিন্তু তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারবেন না। ওয়াকফের বিরোধিতায় আন্দোলন করলে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, মুসলিম তোষণের নামে শোষণ করা হচ্ছে। সেই জন্য কাউকে দলে এনে মানুষের কাছে ভাবমূর্তি পরিষ্কার করা যাবে না।'
শওকত মোল্লাকে আক্রমণ
তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লাকেও কটাক্ষ করেন নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর অভিযোগ, ভাঙড়ে তাঁকে বিপদে ফেলার জন্য শওকত মোল্লা নানা কর্মকাণ্ড করেছেন। কিন্তু সফল হননি। চেয়েছিলেন, তৃণমূলের বড় কোনও পদ পেতে। অখচ তাঁকে টপকে কাসেম সিদ্দিকী এখন তৃণমূলের বড় পদ পেয়ে গেলেন। শওকত মোল্লা এতে ব্যাকফুটে চলে গেল বলেই মনে করছেন নওশাদ। তিনি বলেন, 'শওকত এখন ভাবছেন তাঁকে শাসন করবেন কাসেম ভাইজান। অথচ তিনি নিজের কষ্ট লুকোতে পারছেন না।'