Durga Puja 2025: নিউটাউনের এই পুজোর মূল আকর্ষণ অসুর, থিমটা কী?

Durga Puja 2025: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তারপরই মর্ত্যে আসবেন মা দুর্গা। মায়ের ঘরে ফেরার আনন্দে মেতে উঠবে শহর থেকে গ্রাম সব জায়গাই। তবে এখন দুর্গাপুজো মানেই থিমের প্রতিযোগিতা। কে কাকে থিম পুজো করে টেক্কা দেবে, তারই প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কেউ টেক্কা দিতে চায় মণ্ডপ সজ্জায় আবার কেউ মায়ের মূর্তিতে।

Advertisement
নিউটাউনের এই পুজোর মূল আকর্ষণ অসুর, থিমটা কী?  নিউটাউন আকন্দকেশরীর পুজো
হাইলাইটস
  • তারপরই মর্ত্যে আসবেন মা দুর্গা। মায়ের ঘরে ফেরার আনন্দে মেতে উঠবে শহর থেকে গ্রাম সব জায়গাই।

আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তারপরই মর্ত্যে আসবেন মা দুর্গা। মায়ের ঘরে ফেরার আনন্দে মেতে উঠবে শহর থেকে গ্রাম সব জায়গাই। তবে এখন দুর্গাপুজো মানেই থিমের প্রতিযোগিতা। কে কাকে থিম পুজো করে টেক্কা দেবে, তারই প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কেউ টেক্কা দিতে চায় মণ্ডপ সজ্জায় আবার কেউ মায়ের মূর্তিতে। তবে অসুর নিয়ে মাথাব্যথা কারোরই থাকে না। কিন্তু নিউটাউনের এই পুজো কমিটি অসুরকে নিয়েই বেশি ভাবনা চিন্তা করেছেন। এবারে তাদের পুজোয় অসুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। 

নিউটাউনের শেষমাথা আকন্দকেশরী। অনেকে নাম শুনে থাকলেও অধিকাংশের কাছেই অজানা এই জায়গা। নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনের ঠিক আগেই কিছুটা পা বাড়ালেই নিউটাউন আকন্দকেশরী সার্বজনীন পুজো আর এখানে এই বছরের পুজোর থিম শক্তি। নিউটাউনের আকন্দকেশরী সার্বজনীন দুর্গোৎসব (Akandakeshari Sarbojanin Durga Puja) কমিটি পদার্পণ করল তাদের ৬৭তম বর্ষে। এই পুজো কমিটির প্রেসিডেন্ট তপন মণ্ডল তাঁদের পুজোর থিম প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান সমাজ ভার্চুয়াল দুনিয়ায় মশগুল। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা ছেড়ে গেম খেলছে, অশ্লীল রিলস বানাচ্ছে মহিলারা। আর এইসবের জন্য কোথাও যেন হারিয়ে যেতে বসেছে মানুষের মূল্যবোধ, শিক্ষা, সামাজিক মেলামেশা, বড়দের সম্মান করার বিষয়টি। তিনি জানান যে শক্তি অর্থাৎ মা মোবাইলের অশুভ প্রভাবকে নষ্ট করে বর্তমান প্রজন্মের হাতে বই অর্থাৎ শিক্ষাকে তুলে দেবেন। তবেই সমাজ এগিয়ে যাবে সফলতার দিকে। 

ছবি সংগৃহীত

এই পুজোর পরিকল্পনা ও মা দুর্গার মূর্তি তৈরি করেছেন শিল্পী প্রশান্ত দাস। তিনি জানিয়েছেন, এই পুজোতে অসুর খুব বড় ভূমিকা নিচ্ছে। এই পুজোয় চিরাচরিত অসুরের জায়গায় মোবাইলকে সমাজের সবচেয়ে বড় অসুর হিসাবে দেখানো হয়েছে। মা দুর্গা যাঁকে বধ করে ভার্চুয়াল বেড়াজাল ভেঙে শিক্ষার দিকে সবাইকে নিয়ে যাবেন। মায়ের আদল গ্রাম্য মেয়ের মতো হলেও মোবাইল ফোনকে এখানে অসুর হিসাবে দেখানো হবে। মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে ফেলে দেওয়া টিন, প্লাস্টিক, কাঁচ এগুলো। এছাড়াও বেগুন গাছের ডাল শুকিয়ে, ছাল ছাড়িয়ে তা ব্যবহৃত হয়েছে মণ্ডপের সাজ সজ্জায়, জানালেন প্রশান্ত দাস। শিল্পী এই মায়ের মূর্তি তৈরি করেছেন তমলুকে। পুজোর প্রেসিডেন্ট তপন মণ্ডল জানিয়েছেন যে এই পুজোর বাজেট ৪৫ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। প্রতিবছরই এই পুজোর মাধ্যমে সামাজিক বার্তা দেওয়া হয়, এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। 

Advertisement

ছবি সংগৃহীত

এই পুজোয় নিউটাউন ও তার আশপাশের এলাকার মানুষ ছাড়াও বাইরে থেকেও পুজো দেখতে ভিড় জমে। নিউটাউনের এই পূজো প্রতিবছরই সৃজনশীলতা ও ভাবনার দিক থেকে আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি এই পুজোর থিম সং মুক্তি পেয়েছে। থিম সং-এ সুর দিয়েছেন পণ্ডিত মল্লার ঘোষ এবং এর কথা লিখেছেন তাঁর স্ত্রী মল্লিকা ঘোষ।সুর ও কথার মেলবন্ধনে থিম সংয়ে ধরা পড়েছে মা দুর্গার শক্তি আর সমাজের প্রতি সজাগ বার্তা। ২৩ সেপ্টেম্বর এই পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।           

POST A COMMENT
Advertisement