Kolkata Encounter Updates: সুমিত কুমারের নামে সাপুরজিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল গ্যাংস্টার

নিউটাউন শ্যুটআউট নিয়ে ক্রমেই সামনে আসছে চমকপ্রদ সব তথ্য। জানা যাচ্ছে, পঞ্জাবের নিহত দুই গ্যাংস্টার গত মে মাসেই থাকতে এসেছিল নিউটাউনের সাপুরজির ওই আবাসনে। তবে আসল পরিচয়ে নয়, পঞ্জাবের কুখ্যাত দুষ্কৃতী জয়পাল ভুল্লা নিজের পরিচয় দিয়েছিল সুমিত কুমার নামে। দাবি করেছিল, গাড়ির ব্যবসা করে সে। জন্মস্থান হরিয়ানার মেহামের।

Advertisement
সুমিত কুমারের নামে সাপুরজিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল গ্যাংস্টারনিউটাউন শ্যুটআউটে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
হাইলাইটস
  • নিউটাউন শ্যুটআউটে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
  • নাম ভাড়িয়ে ভাড়া থাকতে এসেছিল দুই দুষ্কৃতী
  • গত মে মাসের ২৩ তারিখ ফ্ল্যাটে আসে তাড়া


নিউটাউন শ্যুটআউট নিয়ে ক্রমেই সামনে আসছে চমকপ্রদ সব তথ্য। জানা যাচ্ছে, পঞ্জাবের নিহত দুই গ্যাংস্টার গত মে মাসেই থাকতে এসেছিল নিউটাউনের সাপুরজির ওই আবাসনে। তবে আসল পরিচয়ে নয়, পঞ্জাবের কুখ্যাত দুষ্কৃতী জয়পাল ভুল্লা নিজের পরিচয় দিয়েছিল সুমিত কুমার নামে। দাবি করেছিল, গাড়ির ব্যবসা করে সে। জন্মস্থান হরিয়ানার মেহামের।  চলুন দেখে নেওয়া যাক নিউটাউন শ্যুটআউট কাণ্ডে বৃহস্পতিবার আর নতুন কী কী সামনে এল।

পরিচয় লুকিয়ে সাপুরজি আবাসনে ফ্ল্যাট
সুমিত কুমারের নামে ফ্ল্যাট ভারা নিয়েছিল জয়পাল ভুল্লা। পাসপোর্ট অবং আধারে ব্যবহার করা হয়েছিল সেই নাম। বিহারের বাসিন্দা বলে নিজের পরিচয় দেয় জয়পাল। দাবি করে গাড়ির ব্যবসা করে সে। যদিও এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে তার সব ডকুমেন্টস ভুয়ো। বাড়ি ভাড়া নিতে ম্যাজিকব্রিস্ক নামে একটি অনলাইন সাইটের সাহায্য নিয়েছিল জয়পাল ভুল্লা ও যশপ্রীত জসসি। সেখান থেকেই ব্রোকার সুশান্ত সাহার সঙ্গে যোগাযোগ। ২৩ মে নিউটাউনের ওই আবাসনে থাকতে আসে দু'জনে। 

বাড়ির মালিক বিহারের বাসিন্দা
সাপুরজির বি ব্লকের ৫ তলার ওই প্ল্যাটটির মালিক সাবির মোল্লা। তিনি বিহারের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। সুশান্ত সাহার মধ্যস্থতাতেই সাবিরের থএক ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় জয়পালরা। ১০ বছর আগে যখন ওই আবাসন গড়ে উঠছে সেই সময় লটারি হয়েছিল।  সেই লটারি জিতে  ২০১ নং ফ্ল্যাটটি পেয়েছিল আকবর আলি। তবে বাড়ির  রেজিস্ট্রেশন খাতায় মালিকের নাম রয়েছে মোল্লা।

পুলিশ সূত্রে খবর, মে মাসের শেষের দিকে ঝাড়খণ্ডের সীমানা পার করে এ রাজ্যে ঢুকেছিল দুই গ্যাংস্টার। লুধিয়ানায় কুখ্যাত এক অপরাধী ভরত কুমার তাদের জন্য এই রাজ্যের ভুয়ো নম্বর প্লেটের গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। ভাড়া নেওয়ার পর গত ১০-১২ দিন ধরে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে থাকছিল ভুল্লার ও জসসি। তাদের খাবার-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করত কারা? অস্ত্র পাচারের ‘লোকাল মডিউল’র সদস্যরা কি সেগুলি নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিয়ে আসত নাকি অনলাইনে সেসব সামগ্রী আসত? এ বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে এবার রহস্যের জাল গুটতে চাইছে পুলিশ। এসটিএফ-এর সন্দেহ,  স্থানীয় কয়েক জনের সঙ্গে  দুই গ্যাংস্টারের যোগাযোগ অসম্ভব নয়। এবার সেই সমস্ত মিসিং লিংকের খোঁজেই তল্লাশি শুরু করতে চাইছে পুলিশ। এদিকে দুই দুষ্কৃতীর দেহ ময়নাতদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছএ পঞ্জাব পুলিশও। এদিকে বুধবারের এনকাউন্টারে আহত হওয়া ইন্সপেক্টর কার্তিক মোহন ঘোষের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে গতকালের ঘটনার পর থেকে নিউটাউনের ওই আবাসনে ঢোকা-বেরোনোয় বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। 

Advertisement

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে,  পঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লা ও যশপ্রীত জসসির বিরুদ্ধে ৫০ টিরও বেশি মামলা রয়েছে। বুধবার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় ৫টি অত্যাধুনিক অটোমেটিক পিস্তল, ৮৯ রাউন্ড গুলি, ৭ লক্ষ নগদ টাকা। ঘটনার তদন্তে বৃহস্পতিবার ফের সাপুরজির ওই আবাসনে হাজির হয় ফরেন্সিক দল।

 

POST A COMMENT
Advertisement