scorecardresearch
 

Suvendu Adhikari-Bangladesh : বাংলাদেশে হিন্দু কোতল চলছে, ১ কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আসবে : শুভেন্দু

বাংলাদেশের অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হবে, ভারতে। এই নিয়ে তিনি রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।

Advertisement
Bangladesh Bangladesh
হাইলাইটস
  • বাংলাদেশের অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী
  • বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে
  • বললেন শুভেন্দু অধিকারী

বাংলাদেশের অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হবে, ভারতে। বললেন শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে তিনি রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। শুভেন্দুর আর্জি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশে এমন অশান্তি চলতে থাকলে শেখ হাসিনার দেশ জামাতের হাতে চলে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন শুভেন্দু। 

বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেন, 'এক কোটি শরণার্থী বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসবেন। এটা লিখে রাখুন। রংপুরের কাউন্সিলর হারাধন নায়ককে খুন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে ১৩ জন পুলিশ খুন হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন হিন্দু। নোয়াখালিতে হিন্দু বাড়ি পোড়ানো হয়েছে। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানাচ্ছি।' ..

'শুভেন্দু আরও দাবি করেন সিএএ-তে বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সংস্থান রয়েছে। কেন্দ্র সরকার তা করেছে ইতিমধ্যেই। তাঁর কথায়, যদি কোনও ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আসেন, তাহলে তাঁকে এদেশে আশ্রয় দেওয়া হবে। এটা কেন্দ্রীয় সরকার বলে দিয়েছে। তাই সেই পথে হাঁটা দরকার।'

আরও পড়ুন

রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আশঙ্কা প্রকাশ, যদি আগামী তিনদিনের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঠিক না হয় তাহলে দেশটা জামাতের হাতে চলে যাবে। তিনি বলেন, 'যা অবস্থা তাতে বাংলাদেশ চলে যাবে হিন্দুদের হাতে। ১ কোটি শরণার্থী আসবেন। সেজন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেন। আমি প্রস্তুতি নিয়েছি। এটা বিদেশ মন্ত্রকের বিষয়। আমি প্রয়োজনে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে লিখব। আমি পশ্চিমবাংলার নাগরিকদের অনুরোধ করব, তাদের জমি জায়গা যা আছে সেখানে আবার হিন্দু ভাইদের থাকার জন্য দিন।'   

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। যার জেরে বাংলাদেশের সর্বত্র হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ঢুকে আন্দোলনকারীরা ১৩জন পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে খুন করেছে। জেলার পুলিশ বিভাগের প্রচার আধিকারিক কামরুল আহসান স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এই খবর জানিয়েছেন। দু’দিন আগে খুলনায় এক পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করে আন্দোলনকারীরা। এর আগে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময়ও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। তাঁদের মধ্যে ছুটিতে থাকা এক পুলিশ আধিকারিকও ছিলেন, যিনি পরিচয় জানার পর পিটিয়ে হত্যা করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদশে এখনও ুপর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। 

Advertisement

যদিও শেখ হাসিনা সাফ জানিয়েছেন, তিনি আন্দোলনের তীব্র বিপক্ষে। যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিত করেছেন। সরকারের তরফে আবার সাফ জানানো হয়েছে, আন্দোলন দমনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে। কদিন আগে পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন হাসিনা। তবে পড়ুয়ারা তা মেনে নেননি। 

 

Advertisement