Hilsa : বাংলাদেশ থেকে নামমাত্র ইলিশ এসেছে ভারতে, মাছ নিয়েও শত্রুতা করছেন ইউনূস?

প্রতিবারই পুজোর সময় বা আগে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসে ভারতে। যার বেশিরভাগটাই ঢোকে পশ্চিমবঙ্গে। চলতি বছর, বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। ৫ অক্টোবরের মধ্যে সেই রপ্তানি শেষ করতে হবে, জানিয়েছিল প্রশাসন।

Advertisement
বাংলাদেশ থেকে নামমাত্র ইলিশ এসেছে ভারতে, মাছ নিয়েও শত্রুতা করছেন ইউনূস? বাংলাদেশের ইলিশ
হাইলাইটস
  • কথাও দিয়েও রাখল না বাংলাদেশ
  • ভারতে পাঠাল খুব অল্প ইলিশ, তাও চড়া দামের

মহম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন প্রধান। ২০২৪ সালের অগাস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তাঁর হাতেই ক্ষমতা সেদেশের। তবে বারবার ভারত বিরোধী মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। সেখানে সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়েও তিনি নীরব ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ইউনূস সরকার এবার কথা দিলেও খুবই কম ইলিশ পাঠাল ভারতে। যা নিয়ে হতাশ মৎস্যজীবীরা।  বাঙালিও এতে অখুশি। অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি ইলিশ নিয়েও রাজনীতি করছে ইউনূস? 

প্রতিবারই পুজোর সময় বা আগে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসে ভারতে। যার বেশিরভাগটাই ঢোকে পশ্চিমবঙ্গে। চলতি বছর, বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। ৫ অক্টোবরের মধ্যে সেই রপ্তানি শেষ করতে হবে, জানিয়েছিল প্রশাসন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় রপ্তানি। শেষ হয় ৪ অক্টোবর। মোট ১৩ বার ভারতে পাঠানো হয় মাছ। যদিও বাংলাদেশের ৩৭টি আড়তের এই মাছ পাঠানোর কথা ছিল ভারতে। আসা মাছের মধ্যে বেনাপোল ও আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে মাত্র ১৪৪ টন ৪৮৯ কেজি ইলিশ আসে। এর মধ্যে ত্রিপুরায় যায় ৩৯ টন ২৭৫ কেজি। 

এদিকে এত কম পরিমানে ইলিশ আসার ফলে তার দামও ছিল বেশি। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়। আসলে এক কিলো পদ্মার ইলিশ ভারতীয় টাকায় ব্যবসায়ীদের কিনতে হয়েছিল প্রায় ১১০০ টাকায়। তার সঙ্গে যুক্ত হয় পরিবহনের খরচ। ফলে খুচরো বাজারে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে বিকোয় রুপোলি শস্য। ব্যবসায়ীদের মতে, এত কম পরিমানে ইলিশ আসায় তার চাহিদা ছিল বেশি। এতে দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। 

অথচ ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানোর কথা থাকলেও মাত্র ১৪৪ টন ৪৮৯ কেজি ইলিশ কেন পাঠানো হল? তাহলে কি ইলিশ নিয়েও শত্রুতা করতে চাইছেন মহম্মদ ইউনূস? মৎস্য ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে, ভারতে এত কম ইলিশ আসার প্রধান কারণ হল রপ্তানির জন্য পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া। সরকারের তরফে যে সময় দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে অত টন ইলিশ ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা সম্ভব ছিল না আড়তদারদের পক্ষে। শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য পাঁচ দিন সব বন্দর দিয়ে আমদানি, রপ্তানি বন্ধ ছিল। ফলে ইলিশ আনার জন্য ১৩ দিন সময় পাওয়া গিয়েছিল। যা খুবই অল্প। 

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী জানান, তাঁদের তরফে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছিল, ভারতে মাছ পাঠানোর জন্য যেন পর্যান্ত সময় দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। ওই ব্যবসায়ীর আরও দাবি, গত বছর বাংলাদেশে অত অস্থির সময়ের মধ্যেও ৫৭৭ টন ইলিশ ভারতে এসেছিল। অথচ এবার তার থেকেও কম আসে। সেদিক থেকে বিচার করলে ইউনূসের নীতি যে দায়ি তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 

যদিও বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের দাবি, ইউনূসের নীতি এক্ষেত্রে একমাত্র দায়ি নয়। কারণ সেই ২০২১ সাল থেকেই এই পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। সেই বছর থেকেই ভারতে ইলিশ রপ্তানি কমতে শুরু করেছে।  
  

POST A COMMENT
Advertisement