পদ্মভূষণ ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ফের তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, এমন পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হল যেন পুরস্কার নেওয়াটা একটা অপরাধ। সেই সঙ্গে কলকাতা পুরসভার পেনশন বন্ধের একটি নোটিশ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে আসে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন। আজ পেনশন বন্ধ হয়েছে। এর পরে বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে।
রাজ্য সরকারকে তোপ
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, "নির্বাচনের প্রচারে আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপিকে ভোটে আটকাতে না পেরে পথে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। গণতন্ত্রে বিরোধীদের গায়ের জোরে আটকানোর কোনও পদ্ধতি নেই। আমাদের একটা অনুষ্ঠান করতে গেলে আদালতে যেতে হচ্ছে। এতে বোঝাই যাচ্ছে গণতন্ত্র এখানে কেমন আছে। প্রথমে ডিএ বন্ধ করা হয়েছে। এখন লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য টাকা নেই। এখন পেনশন বন্ধ হয়েছে, আগামী দিনে বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে।"
ট্যাবলো ইস্যুতে দিলীপ
তিনি আরও বলেন, "যাঁরা ট্যাবলো নেওয়া হয়নি বলে রাজনীতি পেয়েছেন কিংবা পুরস্কার দেওয়া নিয়েও রাজনীতি পেয়েছেন, তাঁরা সবকিছুতেই রাজনীতি খুঁজে পান। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় শিল্পী জীবনে অনেক কিছু দিয়েছেন। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। এমন পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হল যেন পুরস্কার নেওয়াটা একটা অপরাধ। ওঁনার কিছু বলার আগেই মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এমন রাজনীতি খুব নিন্দনীয়। কিছু কুটিল লোক, যাঁরা জীবনে কোনও পুরস্কার পাননি তাঁরাই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বুদ্ধবাবুকে আটকেছেন।"
একের পর এক নিশানা
বৃহস্পতিবার পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেছিলেন,"ট্যাবলো নেওয়া হয়নি বলে অপমান হয়েছে। কেউ আবার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে অপমান হয়েছেন। আগে ঠিক করুক কোনটা মান আর কোনটা অপমান। মাননীয় প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল। উনি তো কংগ্রেসে ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। সব দলে বিভিন্ন রকমের লোক রয়েছেন। তাই বলে কি তাঁদের দেওয়া যাবে না! পুরস্কার দিলে ভয়ের কি আছে। কিছু লোক আদতে অন্যের ভালো দেখতে পারেন না। কিছু লোক মোদী বিরোধিতা করতে গিয়ে নিজের পায়ে কুড়ুল মারছেন।"