পহেলগাঁওয়ে বাংলার পর্যটকমৃত্যু নিয়ে কার্যত টানটান প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি! তৃণমূল নেতা জঙ্গিহানায় নিহত কলকাতার বাসিন্দা আমেরিকায় কর্মরত বিতান অধিকারীর স্ত্রীর বয়ানকে বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছেন। তিনি বিষয়টিতে একটি ফেসবুক পোস্টও করেছেন।
বিষয়টিতে বিতান অধিকারীর স্ত্রী সোহিনী রায় অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বাংলা.aajtak.in। সোহিনী শোকের মধ্যেও তীব্রভাবে বলেন, 'কে কুণাল ঘোষ। উনি কিছুই জানেন না। না জেনে আজেবাজে বকছেন। আমরাই বাবা-মাকে দেখতাম। দেখত না ওর দাদা। বহুবার বিভিন্ন অশান্তি হয়েছে বাড়িতে। যার জন্য আমার শ্বশুর-শাশুড়িতে ৩ বার থানায় অভিযোগ জানাতে হয়েছে।'
বিতান অধিকারীর মামাতো ভাই দীপক অধিকারী বলেন, 'মামা অবসরপ্রাপ্ত দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টকর্মী। আমরা সবাই ভেঙে পড়েছি। বিতান একটু হাওয়াবদলের জন্য ফ্লোরিডা থেকে এসে কাশ্মীর গিয়েছিল।'
কুণাল ঘোষ ফেসবুকে সোহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে লিখেছেন, 'প্রথমে টিভিতে বাইট: হিন্দু মুসলমান বেছে মারেনি। পরে বিজেপি নেতাদের সামনে: হিন্দু বলে মেরেছে। মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্যের প্রশাসনের অন্তত কুড়িটি ফোন। ফেরার সব সাহায্য। ফিরে বিজেপির সামনে: আপনাদের ভরসায় ফিরেছি। মৃতের বাবা মা অসহায়। ছেলে নেই। পুত্রবধূ তাঁদের কাছে থাকতেন না, দেখতেন না। প্রয়াত বিতান অধিকারীর পরিবারের জন্য দুই সরকার যদি কিছু ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন, তা যেন শুধু পুরোটা স্ত্রীকে দেওয়া না হয়।'
উল্লেখ্য, কলকাতায় ফেরার পরে বিমানবন্দরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সোহিনী অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বাচ্চাকে কোলে তুলে নেন। বিতানের স্ত্রী বলেন, আমার হাজব্যান্ড আপনাদের খুব মানত স্যার। শুভেন্দু বলেন, হিন্দুস্তানে হিন্দুকে খুন করবে! গাজা শেষ হয়েছে। ইজরায়েল শেষ করেছে। আমরাও শেষ করব। মোদীর শিষ্য আছি। এদিকে বিতানের স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ...স্যার আমি আপনার ভরসায় এসেছি। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়।