খুন হওয়ার আশঙ্কা, নিরাপত্তা ও জেল বদলের আবেদন পামেলা-প্রবীরের

জেলের মধ্যে তাদের 'হাই লাইফ রিস্ক' রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল মাদক কাণ্ডে ধৃত বিজেপি (BJP) নেত্রী পামেলা গোস্বামী (Pamela Goswami) এবং তার অপর সঙ্গী প্রবীর কুমার দে। একই মামলাতে গ্রেফতার হওয়া অপর বিজেপি নেতা রাকেশ সিং (Rakesh Singh) জেলের মধ্যেই খুনের চক্রান্ত করেছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন পামেলা এবং প্রবীর দুজনেই।

Advertisement
খুন হওয়ার আশঙ্কা, নিরাপত্তা ও জেল বদলের আবেদন পামেলা-প্রবীরেররাকেশ সিং ও পামেলা গোস্বামী
হাইলাইটস
  • জেলে হত্য়ার আশঙ্কা পামেলা-প্রবীরের
  • নিরাপত্তার আবেদন পামেলার
  • জেল বদলের আবেদন প্রবীরের

জেলের মধ্যে তাদের 'হাই লাইফ রিস্ক' রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল মাদক কাণ্ডে ধৃত বিজেপি (BJP) নেত্রী পামেলা গোস্বামী (Pamela Goswami) এবং তার অপর সঙ্গী প্রবীর কুমার দে। একই মামলাতে গ্রেফতার হওয়া অপর বিজেপি নেতা রাকেশ সিং (Rakesh Singh) জেলের মধ্যেই খুনের চক্রান্ত করেছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন পামেলা এবং প্রবীর দুজনেই। তাই এবার জেলের মধ্যে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ অভিযুক্তরা। শনিবার আলিপুর আদালতে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা আবেদন জানান, জেলের ভেতরে তাঁদের মক্কেলদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হোক, অথবা কোন জেলে স্থানান্তর করা হোক।

গত বৃহস্পতিবার মাদক কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপির যুবনেত্রী পামেলা গোস্বামী ও তাঁর সঙ্গী প্রবীর কুমার দে এবং তাঁর দেহরক্ষী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর জেলা এনডিপিএস আদালতে তোলা হলে, তিনজনকেই ১৮ই মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপরই আদালত থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন দুই অভিযুক্ত। বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী বলেন, "রাকেশ সিং জেলের মধ্যে প্রবীরকে খুন করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছেন।" এই হুমকির প্রমাণ ইতিমধ্যেই লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধানকে তিনি দিয়েছেন বলেও দাবি করেন পামেলা। এরপর আদালতের লক-আপ থেকে বেরোনোর সময়  প্রবীরও অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতা রাকেশ সিং জেলের মধ্যেই তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেছেন। যে কোনো সময় তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রবীর কুমার দে। 

পরদিন শুক্রবার আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে বন্দি পামেলা গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যায় তাঁর পরিবার। সূত্রের খবর, তার বাবার কাছেও নিজের জীবন সংশয়ের কথা জানান পামেলা। এর পরেই তাঁদের বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অভিযুক্তের পরিবারের তরফে। এই প্রসঙ্গে আলিপুর আদালতে দাঁড়িয়ে তাদের আইনজীবী কৈলাশ তামুলি বলেন, "জেলে পামেলার বাবা দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন জেলের মধ্যে পামেলার লাইফ থ্রেট আছে। প্রবীর ও সোমনাথও একই অভিযোগ জানিয়েছেন। তাই আমরা আদালতে আবেদন জানিয়েছি প্রবীর ও সোমনাথকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে দমদম সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হোক এবং পামেলাকে অন্য কোনও নিরাপদ হোমে পাঠানো হোক অথবা জেলের মধ্যে তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক।"

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement