Parnasree Murder Case: পর্ণশ্রীর জোড়া খুনের কিনারা, সম্পত্তির জন্যই বোন-ভাগ্নেকে খুন দুই ভাইয়ের

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের খুনের ঘটনায় পরিচিতো যোগ আছে, আগেই সন্দেহ করছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁদের সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। মাসতুতো বোন ও ভাগ্নেকে খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়লো দুই ভাই। ধৃতদের নাম সন্দীপ দাস (৩২) এবং সঞ্জয় দাস (৪৪)। দিদির গয়না হাতাতেই দুই ভাই মিলে খুন করেছে বলে লালবাজার সূত্রে জানান হয়েছে। যদিও খুনিরা কেউই প্রফেশনাল নয়।

Advertisement
পর্ণশ্রী খুনের কিনারা,  সম্পত্তির জন্যই বোন-ভাগ্নেকে খুন দুই ভাইয়ের রহস্যের কিনারা করে দিল কলকাতা পুলিশ
হাইলাইটস
  • গত সোমবার পর্ণশ্রীর সেনপল্লিতে মা ও ছেলের দেহ উদ্ধার হয়
  • এই ঘটনা নিয়ে ক্রমে রহস্য দানা বাঁধছিল
  • অবশেষে রহস্যের কিনারা করে দিল কলকাতা পুলিশ

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের খুনের ঘটনায় পরিচিতো যোগ আছে, আগেই সন্দেহ করছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁদের সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। মাসতুতো বোন ও ভাগ্নেকে খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়লো দুই ভাই। ধৃতদের নাম সন্দীপ দাস (৩২) এবং সঞ্জয় দাস (৪৪)। দিদির গয়না হাতাতেই দুই ভাই মিলে খুন করেছে বলে লালবাজার সূত্রে জানান হয়েছে। যদিও খুনিরা কেউই প্রফেশনাল নয়।

কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) মুরলীধর শর্মা এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে পর্ণশ্রীর জোড়া খুনের ঘটনার পর্দা ফাঁস করেন। ইতিমধ্যে খুনের দায়ভার স্বীকার করেছে দুই ভাই সন্দীপ ও সঞ্জয়।  সোমবার তাদের আদালতে তোলা হবে।  কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) বলেন, সম্পত্তির লোভেই মাসতুতো দিদি এবং ভাগ্নেকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল ধৃতরা। 

গত সোমবার পর্ণশ্রীর সেনপল্লিতে ফ্ল্যাটের ভিতরে সুস্মিতা মণ্ডল এবং তারঁ  ১৩ বছরের ছেলের গলা কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।  তদন্তে উঠে আসে, ওইদিন আনুমানিক বেলা তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে খুন করা হয় মা ও ছেলেকে। কিন্তু খুনের কারণ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল । প্রথমে মামলাটি পর্ণশ্রী থানার হাতে থাকলেও, পরে তদন্তভার নেয় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। শনিবার সকলে বয়ান যাচাইয়ের কাজ চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। সুস্মিতার উধাও হয়ে যাওয়া ফোনটিরও খোঁজ চলছিল। এবার ঘটনার সাতদিনের মধ্যে খুনের কিনারা করে দিলেন গোয়েন্দারা। 

ধৃত দুই ভাই সঞ্জয় ও সন্দীপ দাস মহেশতলা থানা এলাকার ঘোষপাড়া শ্যামপুরের বাসিন্দা। ইদানীং দুই ভাইয়ের আর্থিক অনটন চলছিল। বাজারে প্রচুর ঋণও ছিল সঞ্জয়ের। লকডাউনে ইনকাম কমে গিয়েছিল। সঞ্জয় ছিল সিটিমার্টের কর্মী। অন্যদিকে সন্দীপ দাস হাইকোর্টের আইনজীবীর গাড়ি চালাচ্ছিল ৪ বছর ধরে।  সঞ্জয় মাসতুতো দিদির কাছে ফোনে টাকা চায়। তেমন সুবিধা না হওয়ায় দুই ভাই মিলে তাই খুনের পরিকল্পনা করে। খুনের আগে রেইকি করে যায়। আগে এসে বুঝেছিল বাড়ির সিসিটিভি কাজ করছে না। ঘটনার দিন বাড়ির গেট খোলা ছিল। দুপুর ১-২টোর মধ্যে তারা বাড়িতে ঢোকে। তখন অনলাইনে স্কুলের ক্লাস করছিল গৃহকর্ত্রীর ছেলে। সেই সুযোগে দিদিকে খুনের মতলব ছিল সঞ্জয় ও সন্দীপের। কিন্তু কোনও ভাবে মাকে খুনের দৃশ্য দেখে ফেলে ছেলে। প্রমাণ লোপাট করতে তখন ছেলেকেও খুন করে সঞ্জয় ও সন্দীপ দাস। 

Advertisement

জানা যাচ্ছে খুনের আগে অভিযুক্তদের হাত কাঁপছিল। ছুরি নিয়ে বাড়িতে ঢুকেছিল তারা। কথা বলতে বলতে ছুরি চালায়। প্রথমে গলায় ও তারপর সুস্মিতা মণ্ডলের পিঠে।  জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে ধৃতরা। খুন করার পর বাথরুমে গিয়ে হাত ধুয়ে নেয়। এরপর বাড়ি ফিরে যায়। ঘটনার রাতে স্বান্তনা দিতে ফের ওই বাড়িতে গিয়েছিল দু'জনে। শনিবার ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়। লাগাতার জেরায় ইতিমধ্যে ভেঙে পড়ে নিজেদের  অপরাধ স্বীকার করেছে ধৃতরা।

 

POST A COMMENT
Advertisement