Partha Chatterjee: 'অন্য অভিযুক্তদের পাশে দল, আমার বেলায়...' আক্ষেপ করে মমতাকে চিঠি পার্থর

দলীয় সংবিধানের কোন ধারায় সাসপেন্ড হয়েছেন? জানতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে নাকতলার বাড়িতে ফিরেই মমতা-অভিষেককে চিঠি দিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

Advertisement
'অন্য অভিযুক্তদের পাশে দল, আমার বেলায়...' আক্ষেপ করে মমতাকে চিঠি পার্থরপার্থ চট্টোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • দলীয় সংবিধানের কোন ধারায় সাসপেন্ড?
  • জানতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়
  • নাকতলার বাড়িতে ফিরেই মমতা-অভিষেককে চিঠি

জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরলেও আক্ষেপ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চেয়েছেন, তৃণমল দলের সংবিধানের কোন ধারায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই চিঠি তিনি জেলে বসেই লিখেছিলেন। পার্থ কী জানতে চেয়েছেন দিদির কাছে? 

পার্থর আক্ষেপ
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন, দল তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। তাঁর প্রশ্ন, দলের কোন নিয়মবলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে? চিঠিতে আক্ষেপ ঝরে পড়েছে তাঁর গলা থেকে। পার্থর বক্তব্য, একইরকম অভিযোগে অভিযুক্ত দলীয় অনেক নেতার পাশে দল বহুবার দাঁড়িয়েছে। অথচ তাঁর বেলায় কেন অন্যথা হল? 

জেলে বসে চিঠি
জানা গিয়েছে, জেলে বসে লেখা সেই চিঠি মঙ্গলবার নাকতলার বাড়িতে ফেরার পর তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠির প্রতিলিপি গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছেও।  চিঠিতে অভিষেককে ‘নব্য সেনাপতি’ বলে উদ্ধৃত করেছেন তৃণমূলের একদা মহাসচিব।

সাসপেন্ড পার্থ 
২০২২ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ২টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ৫০ কোটিরও বেশি টাকা। এরপর থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসে। ED এবং CBI এই মামলার তদন্ত করছে। একাধিকবার তিনি জামিনের আবেদন করলেও মুক্তি মেলেনি পার্থর। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট ৩ বছর ৩ মাস পর শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছে তাঁর। 

এদিকে, গ্রেফতার হওয়ার ৬ দিনের মাথাতেই সরকার এবং দল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। অভিষেক বলেছিলেন, ‘তদন্ত যতদিন না শেষ হবে, ততদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল থেকে সাসপেন্ড থাকবেন। উনি আইনের চোখে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারলে তখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ আর মন্ত্রীও নন তিনি। তবে এখনও বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। 

Advertisement

নির্দল বিধায়ক পার্থ!
মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে নির্দল বিধায়ক হিসাবে যোগদান করতে চান তিনি। বক্তৃতাও করতে চান। তিনি এ-ও বলেন, ‘আমি বেহালা পশ্চিমের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। যাঁরা আমাকে সৎমানুষ মনে করেন, পরপর পাঁচ বার নির্বাচনে জিতিয়েছেন, আমি তাঁদের কাছেই বিচার চাইতে যাব।’ 

 

POST A COMMENT
Advertisement