
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে ফিরেই অ্যাকশনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার বেহালাবাসীর কাছে 'দুয়ারে বিধায়ক' পরিষেবার মাধ্যমে পৌঁছে যেতে চান তিনি। নিজের বিধানসভা এলাকা বেহালা পশ্চিমের মানুষের কাছে খোলা চিঠি দিয়ে তাঁর প্রশ্ন, 'আজকে আমি সোজাসাপ্টা জিজ্ঞেস করতে চাই, চাকরির বদলে আমি কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছি?' প্রমাণ দেওয়ার জন্য তিনি চালু করলেন 'জনবাক্স'। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও উত্তর চাইলেন দলের সাসপেন্ডেড এই নেতা।
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, জনগণের আশীর্বাদেই তিনি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। বেহালার জন্য তিনি কী কী করেছেন, সে কথাও এক এক করে স্মরণ করিয়েছেন চিঠিতে। উল্লেখ করেছেন ডায়মন্ডহারবার রোড, জেমসলং সরণীতে কংক্রিটের রাস্তা, জোকা-তারাতলা মেট্রো চলাচলের দাবিকে বাস্তবায়িত করা, ৩টি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা, বিদ্যাসাগর হাসপাতাল, সরশুনা বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়ন, বেকারের কর্মসংস্থানের কথা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, '২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৫ বার পরপর এই বিধানসভা কেন্দ্রে আমাকেই আশীর্বাদ করে নির্বাচিত করেছেন জনগণ। আমি বিরোধী দলনেতা, মন্ত্রী হয়েছি। আর আমি খুব সচেতন ভাবে অন্যকে বাদ না দিয়ে, সবাইকে নিয়ে আমার বিধানসভা কেন্দ্রকে মূল কলকাতার মানচিত্রে অগ্রণী বিধানসভা কেন্দ্রে পরিচিত করতে পেরেছি।' এরপরই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর 'সোজাসাপ্টা' প্রশ্ন, 'চাকরির বদলে কার কাছ থেকে আমি অর্থ নিয়েছি? আমার কাছে যথাযোগ্য প্রমাণ নিয়ে কে চাকরির জন্য অর্থ দিয়েছেন আমার হাতে? কারা আমার নাম করে অর্থ নিয়েছে? এমন কেউ যদি থাকে তাদের নাম আমাকে জানান। আমি উযুক্ত ব্যবস্থা নেবই। যারা আমার সততার ছবিকে মসীলিপ্ত করার চেষ্টা করল- তাদের ছেড়ে দেওয়া সামাজিক অপরাধ।' তিনি আরও বলেন, 'আমার সুদীর্ঘ কর্ম এবং পরিষদীয় জীবনে কেউ আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন করেনি। আপনারা আমার উপর আস্থা রেখে পরপর ৫ বার বিধানসভায় জিতিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে দায়বদ্ধ। গণদেবতারাই এর উত্তর খুঁজুন আর আমার ছবিকে মসীলিপ্ত হওয়ার থেকে উদ্ধার করুন।' বিগত সাড়ে ৩ বছর বেহালা পশ্চিমের মানুষের সঙ্গে স্বশরীরে থাকতে না পারায় তাঁর মন ভারাক্রান্ত বলেও উল্লেখ করেন পার্থ। ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন উন্নয়নের গতিরুদ্ধ হওয়ায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে তাঁর 'উত্তর চাই-ই চাই' বলে উল্লেখ করেছেন দলের নির্বাসিত এই সৈনিক।