Digha Jagannath Temple: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দানের টাকা নিয়ে এবার মামলা হাইকোর্টে, একাধিক অভিযোগ

জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হয় গিয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। তারপর থেকেই নতুন মন্দির চাক্ষুষ করার জন্য ভিড় বাড়ছে। এরমাঝেই মন্দির নিয়ে কালকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। মামলা করেছেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী । আবেদনকারীর দাবি, জগন্নাথ মন্দিরের জন্য অনুদান দিলে করে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আবেদনকারীর দাবি, সরকার কখনও মন্দির তৈরি করতে পারে না। আর দিঘার এই মন্দির যদি সংস্কৃতি কেন্দ্রের অংশ হয়, তা হলে কী করে করে ছাড়ের প্রসঙ্গ উঠতে পারে? এ নিয়ে তদন্ত চান আবেদনকারী।

Advertisement
 দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দানের টাকা নিয়ে এবার মামলা হাইকোর্টে, একাধিক অভিযোগদিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা

জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হয় গিয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। তারপর থেকেই  নতুন মন্দির চাক্ষুষ করার জন্য ভিড় বাড়ছে। এরমাঝেই মন্দির নিয়ে  কালকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। মামলা করেছেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী । আবেদনকারীর দাবি, জগন্নাথ মন্দিরের জন্য অনুদান দিলে করে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আবেদনকারীর দাবি, সরকার কখনও মন্দির তৈরি করতে পারে না। আর দিঘার এই মন্দির যদি সংস্কৃতি কেন্দ্রের অংশ হয়, তা হলে কী করে করে ছাড়ের প্রসঙ্গ উঠতে পারে? এ নিয়ে তদন্ত চান আবেদনকারী।

বর্তমানে জগন্নাথ ধাম ট্রাস্টের নামে ওই মন্দির পরিচালিত হচ্ছে । তবে সেই ট্রাস্ট হিডকোর অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করছে । একটা ট্রাস্ট কী করে হিডকো অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করতে পারে, এই নিয়ে হাইকোর্ট যেন তদন্তের নির্দেশ দেয়, এমনই আবেদন কৌস্তভ বাগচীর ৷ জগন্নাথ ধামে অনুদান দিলে আয়করে ছাড় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে । আবেদনকারীর দাবি, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র কখনও মন্দির তৈরি করতে পারে না । তাহলে সেখানে অনুদান দিলে কীভাবে আয়করে ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয় । এটা সংবিধান বিরোধী। মঙ্গলবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, নবান্ন থেকেই সাংবাদিক বৈঠকে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঠন করার কথা বলেছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডই।  ক্যাবিনেটের বৈঠকে ওই ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিষয়টি পাশও করানো হয় । মুখ্যসচিবের নেতৃত্ব মোট ১১ জন অফিসার, ইসকন, কালীঘাট মন্দির, পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনের একজন করে প্রতিনিধি-সহ মোট ২৭ জনের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু কীভাবে কোনও সরকার মন্দির তৈরি করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সে প্রশ্ন বিজেপির পাশাপাশি তুলেছিলেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। কৌস্তভ বাগচী বক্তব্য, ভারতের সংবিধান তো কাউকে মন্দির তৈরির নির্দেশ দেয়নি, তাহলে সরকার কীভাবে সরকারি টাকায় মন্দির তৈরি করতে পারে? ১৯ তারিখের আগেই এই মামলা তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে । আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এই মামলা ১৯ মের মধ্যে শুনানির জন্য  আবেদন করেছেন ৷ জবাবে বিচারপতি সেন তাঁকে জানিয়েছেন, মামলা দায়ের করে এবিষয়টি যেন বিচারপতিকে জানানো হয় ৷ পাশাপাশি  রাজ্য সরকার জগন্নাথ ধামে সিভিক ভলান্টিয়ার্স নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে । কীসের ভিত্তিতে এই সিভিক ভলান্টিয়ার্স নিয়োগ করা হবে, আদালত যাতে তা রাজ্যের কাছে জানতে চায়, সেই আবেদনও জানিয়েছেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী ৷

POST A COMMENT
Advertisement