PM Narendra Modi West Bengal Tour: আগামী ২২ অগাস্ট যশোর রোড থেকে এয়ারপোর্ট এই মেট্রো লাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি সরকারি কার্যক্রম শেষে পরিবর্তন সভা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। সাংবাদিক বৈঠক করে এ খবর জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। পাশাপাশি বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগও করেছেন তিনি।
রবিবার দমদম সেন্ট্রাল জেল গ্রাউন্ড থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন রাজ্য সভাপতি শ্রী শমীক ভট্টাচার্য। এদিন তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পশ্চিমবঙ্গ সফরের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তিনি যশোর রোডে ফ্ল্যাগ অফ করবেন, সেখান থেকে তিনি এয়ারপোর্ট যাবেন এবং পুনরায় যশোর রোডে ফেরত আসবেন। এরপর রয়েছে একটি সরকারি কার্যক্রম শেষে পরিবর্তন সভা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি বৈঠক থেকে অভিযোগ করেন, "এই রাজ্যে বর্তমানে ৪৩ টি নতুন রেল প্রজেক্ট জমি জটের কারণে আটকে আছে। তিনি রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ না করার নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন সরকারের এই নীতির কারণে বহু রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না। চিংড়িহাটার তিনটি পিলারের কারণে সেক্টর ৫ থেকে মূল কলকাতার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি। এর আগেও কংগ্রেস আমলে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। দেখা গেছে শুধু শিলান্যাস হয়েছে নানা প্রকল্পের কিন্তু সেগুলি বাস্তবায়িত হয়নি। একসময় এক রেলমন্ত্রী বাজেট পেশ করার সময় বলেছিলেন, ভারতীয় রেল কোমায় চলে গিয়েছে, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়।"
তাঁর আরও অভিযোগ, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য শুধু আমাদের রাজ্য সরকারের কেন্দ্র বিরোধিতা এবং মোদী বিরোধিতার কারণে বাংলার মানুষজন বঞ্চিত হচ্ছেন। একদিকে প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে, অপরদিকে রাজ্য সরকার টাকা দিতে পারছে না, এবং জমি জটের কারণে শুধু রেল নয় বহু প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে। বিএসএফের কাজ, হাইওয়ের কাজ থমকে গেছে। জমি জবরদখলের কারণে সমস্যা হচ্ছে। পোর্টের এলাকা দখল হয়ে গিয়েছে।