যাদবপুর কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের পুলিশের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। খুনের চেষ্টা, মহিলাকে মারধর, শ্লীলতাহানি, হুমকি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (Webcupa)-র বৈঠক চলাকালীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ বাধে। ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় আহন হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইন্দানুজ রায়। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের তরফে ইমেল মারফত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু না করার অভিযোগ ওঠে। বুধবার এনিয়ে একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, ছাত্রদের কোনও এফআইআর নেওয়াই হয়নি। কিন্তু,যাঁরা ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁদের FIR নেওয়া হয়েছে।
কেন এফআইআর নেওয়া হয়নি তা রাজ্যের কাছে জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান যে ইন্দ্রানুজের অভিযোগের বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগ এফআইআর হিসাবে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। রাজ্যের কাছে ১২ মার্চের মধ্যে রিপোর্টও তলব করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তাঁর গাড়ির চালক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র সহ আরও একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারাতে এফআইআর করা হয়েছে।
ইন্দ্রানুজের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা অমিত রায়। সেই মামলা প্রত্যাহার করার কথা শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি। অমিত রায় বলেন, 'শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন তিনি অনুতপ্ত। তবে সেটা তাঁর কাজের ধারার মধ্যে দিয়ে বুঝতে পারব। তাঁর কাজ মিথ্যা মামলাগুলি প্রত্যাহার করা। উনি ভেবে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। ওই ঘটনায় ইন্দ্রানুজ ছিল না। সে সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিল ও। ইন্দ্রানুজ ও তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।'