ঘূর্ণিঝড়ের ফেনজলের প্রভাব কেটে গিয়েছে। কলকাতার আকাশ সকাল থেকেই রোদঝলমলে। মেঘ নেই। তবে এখনই জাঁকিয়ে শীতের আমেজ আসছে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, শীতের আসল প্রভাব দেখা যাবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। আগামী পাঁচদিন তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হবে না, তারপর পারদ ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় ফেনজল তৈরি হয়েছিল। এর প্রভাবে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি। সেইসঙ্গে কলকাতা এবং সংলগ্ন কিছু এলাকায় দিনভর ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়।
রবিবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। মেঘলা আকাশের জন্য তাপমাত্রা বেড়েছে। রবিবার পারদ কিছুটা নামলেও কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে উষ্ণ ছিল।
কুয়াশার প্রভাব:
সকালের দিকে রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরের জেলাগুলিতে শীতের সম্ভাবনা:
দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শীতের অনুভূতি একটু বেশি থাকবে। উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকলেও, শীতের দাপট কিছুটা বেশি অনুভূত হতে পারে।