আবাস যোজনা নিয়ে এল বড় আপডেট। আবাস যোজনার সার্ভে শেষ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো উপভোক্তাদের নাম জমা পড়ল। সরকারের তকফে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার টি বাড়ি। তবে নাম জমা পড়েছে ১০ লক্ষ ১৯ হাজারটি। অর্থাৎ ১ লাখ ১৭ হাজার উপভোক্তার নাম বাদ পড়ল। শতাংশের হিসেবে ৮৯। অর্থাৎ ১১ শতাংশ নাম বাদ পড়েছে তালিকা থেকে।
কাদের নাম বাদ পড়ল ও কেন ?
পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, ১ লক্ষ ১৭ হাজার উপভোক্তার নাম পড়েছে। কারণ, অনেকের তথ্যের ঠিক নেই। আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার যে শর্ত রয়েছে সেগুলো ওই উপভোক্তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আবার কোনও কোনও সময় দেখা গেছে, উপভোক্তারা এছাড়াও অনেকের জমি নেই। সেই কারণে নাম বাদ পড়েছে।
আরও পড়ুন : দিদির দূত অ্যাপ-এ কীভাবে মিলবে সরকারি প্রকল্পের টাকা? রইল বিস্তারিত
এই নিয়ে সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। তাঁর সাফ নির্দেশ ৩১ মার্চের মধ্যে প্রথমে পাট্টা বিলি হবে। তারপর তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে।
কারা বাড়ি পাবেন ?
নবান্ন সূত্রে খবর, বাড়ি তৈরির সবচেয়ে বেশি অনুমোদন পেয়েছে বাঁকুড়া। এছাড়া ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৭৫ জন যোগ্য উপভোক্তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে কোচবিহারে। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাম। এই জেলায় ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৩৩ জন উপভোক্তার গৃহ অনুমোদন পেয়েছে। শতাংশের হিসেবে মুর্শিদাবাদের স্থান সবার শেষে। এই জেলার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৪৯ হাজার ৮২৩ জন উপভোক্তাকে এই প্রকল্পে অনুর্ভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ঝাড়াইবাছাই করে ৩৭ হাজার ৯৯ জনকে যোগ্য উপভোক্তা হিসেবে নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন : Didir Dut App : দিদির দূত অ্যাপে মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-কন্যাশ্রী, বিরাট ঘোষণা রাজ্যের
কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে কাজ ?
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী তিন মাসের মধ্যে সব বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে হবে, মুখ্যসচিব এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন। ৯০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে সেই টাকা যে কেন্দ্র অন্য কোনও রাজ্যকে টাকা দিয়ে দেবে তা নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব।