সল্টলেকে রাম মন্দির ২০২৬ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে 'ধর্ম' নিয়ে প্রতিযোগীতার ট্রেন্ড শুরু হয়েছে রাজ্যে। একদিকে, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় যখন বাবরি মসজিদের নির্মাণে উদ্যত হয়েছেন সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। অন্যদিকে, সল্টলেকে এবার রাম মন্দির গড়ার ডাক দিলেন এক BJP নেতা।
BJP-র প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি সঞ্চয় পয়ড়্যা সল্টলেকে রাম মন্দির গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর নাম করে সল্টলেকের চতুর্দিকে পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ। তাঁর কথায়, 'রামের রাজ্যে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হবে। বিধাননগরে প্রথমে মন্দির হবে তারপর রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে। ২৬ মার্চ, ২০২৬ সালে সকাল ১০টায় রামনবমীর দিন শিলান্যাস এবং ভূমিপুজো হবে। অনেকে জমি, অনেকে নির্মাণ সামগ্রী এবং মূর্তি দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সুতরাং হিন্দু সনাতনীরা সকলে এক জায়গায় আসবে। কেউ যদি ১ টাকাও এই নির্মাণের জন্য দান করেন আমরা তা গ্রহণ করব।' এখানেই শেষ নয়, বিধাননগরের এই রাম মন্দিরে থেকে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। তার জন্য হাসপাতাল এবং স্কুলও প্রতিষ্ঠা করার কথা জানিয়েছেন সঞ্জয় পয়ড়্যা।
সল্টলেক করুণাময়ী, সিটি সেন্টারের মতো এলাকাগুলিতে এই রাম মন্দিরের নামে পোস্টার পড়েছে। ন্যূনতম ১ টাকা করে দান করার কথাও জানানো হয়েছে।
এদিকে, গত ৬ অগাস্ট বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড নেতা হুমায়ুন কবীর। শিলান্যাসের মঞ্চ থেকেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, এই মসজিদ নির্মাণের জন্য মোট বাজেট ৩০০ কোটি টাকা। 'পশ্চিমবঙ্গ ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া' ট্রাস্টের নামেই জমা পড়ছে বেলডাঙার বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য দানের টাকা। হুমায়ুন কবীরের বাড়িতেই গণনা হচ্ছে নগদ অর্থ।
অন্যদিকে, আবার ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল সম্প্রতি। আবার লক্ষ কণ্ঠে কোরান পাঠেরও ডাক দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। লক্ষ কণ্ঠে হরিনামের ডাক দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। সর্বোপরি রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে কংগ্রেস আয়োজন করতে চলেছে লক্ষ কণ্ঠে সংবিধান পাঠ অনুষ্ঠানের।