এখনও খোঁজ নেই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। কোথায় গেলেন হৈমন্তী? প্রতিবেশীদের কাছেও তা স্পষ্ট নয়। যত সময় গড়াচ্ছে, ততই হৈমন্তী (Haimanti) রহস্যের জাল জটিল হচ্ছে। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল রহস্যজনক কাগজ। যে কাগজে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে একাধিক সিরিয়াল নম্বর ও রোল নম্বরের মতোই কিছু সংখ্যা। বেহালায় হৈমন্তীর ঘরের বাইরে থেকে শনিবার এই কাগজ উদ্ধার হওয়ার পর ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, এগুলো আসলে রোল নম্বরই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুধু হাওড়ার বাকসাড়া নয়, কলকাতার টালিগঞ্জ (Tolligunje) থেকে শুরু করে বেহালা (Behala),মুম্বইেও (Mumbai)বাড়ি আছে হৈমন্তীর। অর্পিতার মতোই লেক টাউনেই হৈমন্তীরও একটি বিউটি পার্লার (Beauti Parlour) রয়েছে। কিন্তু খোঁজ (Tress) মিলছে না হৈমন্তীর। শুক্রবার খোঁজ পেয়ে হানা দেওয়া হয়েছিল হৈমন্তীর বাকসাড়ার বাড়িতে। সেখানে এক বৃদ্ধা নিজেকে হৈমন্তীর মা (Mother) বলে পরিচয় দিয়ে যা বললেন, তাতে বিভ্রান্তি বাড়ল।
তিনি একবার বললেন, মেয়ে আমার মারা গিয়েছে। আবার পরে তিনি বলেন, বাড়ির অমতে বিয়ে করায় বড় মেয়ে হৈমন্তীর কোনও সম্পর্ক (Relation) রাখি না আমরা। কখনও আবার তাঁর মুথে শোনা গেল, সিবিআই (CBI) ডাকলে মেয়ে অবশ্যই যাবে। তবে কি হৈমন্তী বাড়িতেই আছেন? বৃদ্ধা বললেন, না, বাড়িতে নেই। তিনি এ কথা বললেও প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তিনদিন আগেও হৈমন্তী বাড়িতে এসেছিল।
এরই মধ্যে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের (Madan Mitra) সঙ্গেও হৈমন্তীর সেল্ফি পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে বৃহস্পতিবারই কুন্তল দাবি করেন, এই রহস্যময়ী নারী অর্থাৎ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী গোপাল দলপতির কাছে সব টাকা রয়েছে। তারপরই কে এই রহস্যময়ী, তা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। জানা যায়, হৈমন্তীর বাপের বাড়ি হাওড়ার উত্তর বাকসাড়ার কাটুরিয়া পাড়া এলাকায়। বর্তমানে এই ঠিকানাতেই থাকে হৈমন্তীর বাপের বাড়ির লোকজন। পরিবারে রয়েছেন হৈমন্তীর বাবা, মা ও ছোট বোন। এদিন একাধিকবার ডাকাডাকির পর হৈমন্তীর মা দরজা খুলে বেরিয়ে এসে জানান, বাড়িতে তাঁর ছোট মেয়ে আছে, হৈমন্তী নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, দশ দিন আগেও বাড়িতে এসেছিলেন হৈমন্তী। তারা আরও জানান, মাঝেমধ্যেই বাপের বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন হৈমন্তী।
আরও পড়ুন-কুন্তল বলছেন, 'গোপালের দ্বিতীয় বউ', রহস্যের নাম 'হৈমন্তী', কে ইনি?