scorecardresearch
 

RG Kar Case Abhijit Mondal: 'টালা থানায় তথ্য লোপাট', CBI-দাবির পরই 'অসুস্থ' প্রাক্তন ওসি হাসপাতালে

RG Kar Woman Doctor Death Case: আরজি কর-কাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা কোর্ট। প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে তাঁকে।

Advertisement
আরজি কর-কাণ্ড আরজি কর-কাণ্ড
হাইলাইটস
  • অসুস্থ টালা থানার প্রাক্তন ওসি।
  • ভর্তি করা হয়েছে জেল হাসপাতালে।

বুধবার শিয়ালদা আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, আরজি কর-কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ বদল করা হয়েছে টালা থানায়। যা প্রমাণ লোপাটেরই শামিল। পরের দিন, বৃহস্পতিবার সেই থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে জেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। 

প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে টালা থানা প্রাক্তন ওসিকে। জানা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা হয়েছিল অভিজিৎ মণ্ডলের। রাতে অসুস্থ হওয়ার পর জেলের ডাক্তারদের ডাকা হয়। তাঁকে জেল হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, চিকিৎসার পর অভিজিৎ মণ্ডলের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। উল্লেখ্য, তাঁকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা কোর্ট। 

বুধবার শিয়ালদা আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়,টালা থানায় ভুয়ো তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ মণ্ডলকে জেরা করে এই তথ্য তাদের হাতে এসেছে। সিবিআই আদালতকে এও জানিয়েছে, টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজের ডিভিআর এবং হার্ডডিস্ক ডেটা পাঠানো হয়েছে কলকাতা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। অভিযুক্তদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। যা দু-এক দিনের মধ্যে করা হবে। দুই অভিযুক্তের মোবাইল ফোনও পাঠানো হয়েছে সিএফএসএলে। আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মিলতে পারে। দুই অভিযুক্তের নারকো ও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হবে কি না, এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু সিবিআই জানায়, কলকাতার সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞ অন্য কাজে যাওয়ায় তিনি আসতে পারেননি।

আরও পড়ুন

এর আগেও কলকাতা পুলিশের গাফিলতি 'ফাঁস' হয়েছিল সিবিআই তদন্তে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল,প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের জামাকাপড় এবং জিনিসপত্র গ্রেফতারের দুদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। যে জিনিসগুলি অপরাধে প্রমাণে বড় প্রমাণ। অথচ দেরি করেছিল পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ১০ অগাস্ট সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সন্দীপ ও অভিজিৎকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেয় শিয়ালদা কোর্ট।

Advertisement

Advertisement