আরজি করের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক নিশানা করে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে আগেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে নিয়ে আরও বড় অভিযোগ করলেন শুভেন্দু। আরজি করের দুর্নীতির তদন্ত করতে চার সদস্যের সিট গঠন করেছে নবান্ন । এই নিয়ে শুভেন্দুর কটাক্ষ, সিট করেছে কিছু প্রমাণ লোপাটের জন্য। আরজি করের দুর্নীতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'আর্থিক ইরেগুলিটির সঙ্গে যুক্ত হেলথ ডিপার্টমেন্টের কান্ডকারখানা, মুখ্যমন্ত্রী নিজে যুক্ত, তাঁর নির্দেশে নিম্নমানের জিনিস, টেন্ডার ভায়োলেশন, বাজার দরের বেশি দরে নিজের পছন্দের কম্পানিকে পাওয়ানো,এর জন্য জন্য দায়ী মমতা । সিট করেছে কিছু প্রমাণ লোপাটের জন্য, যাতে মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে ধরা না পড়ে, এটা ষড়যন্ত্র। আমি কদিনের মধ্যে মেটিরিয়াল দিয়ে দেব। আমার কাছে সব আছে।'
রাজ্য সরকার রাত্তিরের সাথী চালু করেছে, তার নতুন নিয়ম কানুন বলছে, একজন মেয়েকে যতসম্ভব রাত্রে কম কাজ করতে হবে। এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, যদি সরকার বলে মহিলারা রাতে ডিউটি না করাই ভালে, তার মানে কার্যত সরকার নারী সুরক্ষা নিয়ে হাত তুলে নিচ্ছে, রাত্তিরে আমরা মহিলাকে নিরাপত্তা দিতে পারব না, সেই সঙ্গে ৯-১৪ অগাস্টের যে হরিবল এক্সপিরিয়েন্স হয়েছেতার ক্ষমা নেই। ১৪ অগাস্ট কনস্পিরেশি অফ রুলিং পার্টি, পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে। এর সুবিচার আদালত করুক, এটা আমি ওবাংলার মানুষ আশা করে।
শুভেন্দু বলেন, সঞ্জয় রায়ের না করে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট, মোবাইল ঘাঁটলেই প্রমাণ মিপাবে। এসপি দাস, নারান নিগমের সঙ্গে কথা বলেছে। মুখ্যমন্ত্রী এদের মাধ্যমে নির্দশ দিয়েছে। আরজি করে ডায়রেক্টর অফ মেডিকেল এডুকেশন কেন এসেছিলেন ৯ অগাস্ট। নিহত চিকিৎসকের বাবা-মার পাশে মিঠু মজুমদার, নির্মল ঘোষের ছিল। পরিবারকে চাপ দেওয়া হয়েছে। ১৪ অগাস্ট ঘটনার দিন গাড়ি গাড়ি করে লোক এসেছে। পুলিশ বলেছে ৭ হাজার মব। আজ সুপ্রিম কোর্টও শুনানিতে বলেছে। যে মুখ্যমন্ত্রী মিছিল করছেন, সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে কস্টলি আইনজীবীকে আজ দাঁড় করিয়েছেন মামলার বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শুভেন্দুর কটাক্ষ, আপনি আজও ডাক্তার বোনটির আত্মাকে শান্তি দিতে পারলেন না।
সোমবার শুভেন্দু বলেছিলেন, “নির্যাতিতার বাবা শুধু একবার ডাক দিন যে নবান্ন অভিযান হবে। তারপর বাকিটা আমরা করে নেব। ওনাকে মিছিলে হাটতে হবে না। BJP, CPM সব রাজনৈতিক দলেরই কিছু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকে। তাই আমরা নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ করতে পারছি না। শুধু নির্যাতিতার বাবা একবার যদি নবান্ন অভিযানের ডাক দেন সবাই বেরিয়ে আসবে। তাঁকে আসতে হবে না। তিনি বয়স্ক মানুষ। জাতীয় পতাকা নিয়ে একবার শুধু ডাকটা দিয়ে দিন। বাকিটা আমরা করে নেব।”