কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ভাঙচুর মামলায় চার্জশিট দাখিল করল কলকাতা পুলিশ। চার্জশিটে নাম রয়েছে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক ও সিপিআইএম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ মোট ৫৪ জনের। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার মাত্র পাঁচ দিন পর, ১৪ আগস্ট ২০২৪-এর রাতে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অশান্ত জনতা তাণ্ডব চালায়।
অভিযোগ, সেদিন হাসপাতালে প্রবল ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। দরজা-জানলার কাচ, চেয়ার-টেবিল, ওষুধপত্র এবং এমনকি সিসি ক্যামেরাও ধ্বংস করা হয়। শুধু সম্পত্তি ভাঙচুর নয়, চিকিৎসক ও উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগও ওঠে। ঘটনার পরই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একাধিক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত চলাকালীন হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এবং সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও প্রমাণ হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চাওয়া হয়। সাধারণ মানুষকেও তথ্য জানাতে আহ্বান জানানো হয়েছিল।
সূত্রের খবর, চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, বামফ্রন্টের বেশ কয়েকজন নেতা অশান্ত জনতাকে উসকে দিয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে জনতাকে ষড়যন্ত্রে প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তরুণ নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নামও সেই তালিকায়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ, পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটিকে ‘অপরিকল্পিত উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ বলেই মনে করছে পুলিশ।