scorecardresearch
 

RG Kar Case: শারীরিক অবস্থার অবনতি, আরজি করের ICU-তে ভর্তি অনিকেত মাহাতো

ধর্মতলায় অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই অনিকেত মাহাতোকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement
শারীরিক অবস্থার অবনতি, আরজি করের ICU-তে ভর্তি অনিকেত মাহাতো শারীরিক অবস্থার অবনতি, আরজি করের ICU-তে ভর্তি অনিকেত মাহাতো
হাইলাইটস
  • অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের হাল দেখতে বৃহস্পতিবার চার চিকিৎসকের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়
  • সেই দলই শুক্রবার রাতেই ধর্নামঞ্চে গিয়ে অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে

ধর্মতলায় অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই অনিকেত মাহাতোকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্মতলার অনশনস্থল থেকে অনিকেতকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে আরজি করে নিয়ে যাওয়া হয়। আন্দোলনকারী ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন যে অনিকেতকে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে।

অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের হাল দেখতে বৃহস্পতিবার চার চিকিৎসকের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। সেই দলই শুক্রবার রাতেই ধর্নামঞ্চে গিয়ে অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। ওই দলে ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের জেনারেল মেডিসিনের চিকিৎসক নীলাদ্রি সরকার, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক অতনু বিশ্বাস, জেনারেল সার্জারির ডিকে সরকার, কার্ডিয়োলজি বিভাগের গৌরাঙ্গ সরকার। অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নীলাদ্রি বলেন, ‘‘চার দিন পার হয়ে গিয়েছে। শারীরিক অবস্থা আসতে আসতে খারাপ হচ্ছে। ওঁদের এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। তবে অনশনকারীদের মধ্যে অনিকেত মাহাতো এবং স্নিগ্ধা হাজরাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে ভাল হয়।’’

শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রথমে ৬ জন অনশন শুরু করেন। পরের দিন তাতে যোগ দেন আরজি করের অনিকেত মাহাত। অনশনে বসা ডাক্তারদের মধ্যেই অনিকেতই একমাত্র আরজি কর হাসপাতালের। এখনও ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তনয়া পাঁজা, স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। তাঁদের শারীরিক অবস্থাও আগামীদিনে খারাপ হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সিনিয়র ডাক্তারেরাও জুনিয়রদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা ধর্মতলায় এসে প্রতীকী অনশনে অংশ নেন, ১২ ঘণ্টা ধরে না খেয়ে থেকে জুনিয়রদের প্রতি সমর্থন জানান। তবে, সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ জুনিয়রদের অনশন থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি যথার্থ হলেও, জীবন ঝুঁকিতে ফেলে এই লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। সরকারের কাছে আর্জি জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, জুনিয়রদের দাবিগুলির প্রতি আরও মানবিক ও উদার মনোভাব দেখানো উচিত। সিনিয়ররা তাঁদের বক্তব্যে আরও বলেন, "জুনিয়র ডাক্তাররা আমাদের সন্তানসম। আমরা চাই তাঁদের দাবি মানা হোক, তবে জীবন বাজি রেখে নয়।"

Advertisement

Advertisement